Monday, September 1, 2025

লড়াই করে বাঁচতে চাই

বেশীদিন নয়, এই তো সেদিন, বছর তিনেক আগে,
আইনস্টাইন হঠাৎ করিয়া রাতের প্রথম ভাগে,
আপেক্ষিকতা অংক কষিয়া, করিলেন সমাধান,
ভর ও শক্তি দেখা দিলো শেষে দুই নামে একই প্রাণ।

রাত কাটে নাকো, সময় থামিয়া স্থির হয়ে থাকে তার,
সকাল হইবে, সবাই জানিবে, রাত বাঁকী কত আর?
হইচই হবে, উৎসব হবে, দেশে হবে সমৃদ্ধি,
এই সমাধান দেশে এনেদেবে জ্যামিতিক প্রবৃদ্ধি।

স্বল্প খরচে অসীম শক্তি হাতের মুঠোয় রবে,
বছর ঘুরতে বিশ্বে স্বদেশ এক নম্বর হবে।
অবশেষে রাত ফিকে হয়ে আসে, বাজে আজানের ধ্বনি,
বাড়ির পাশের মোরগ বাবাজি ডেকে ওঠে তক্ষনি।

মুসুল্লিগণ ফজর আদায়ে মসজিদ পানে ছোটে।
কপাট খুলিয়া আইনস্টাইন রাস্তায় আসিয়া জোটে।
কারে কই? করে কই? ভেবে ভেবে খুঁজিনা বেড়ান তিনি
অদুরে তখন পাগলীর চুলে পাগল দিতেছে বিনি।

সে তখন ভাবে, সবাই মগ্ন ইবাদাত চিন্তাতে
বলিলে এসব পাগল ভাবিবে সব মাটি হবে প্রাতে।
সারাদিন ধরে বলার মানুষ জুটছিলোনা একজনও
কবি, শিক্ষক, পেশাজীবী কারো আগ্রহ নেই কোন।
 
দেখিলো সবাই পেরেশান আছে নিজ নিজ টেনশনে
কারো কথা কেহ শোনেনা, সবাই বাঁশের গিট্টু গোনে।
কয়টা ঢুকিলো নিজের পেছনে কটা দেনা রহিয়াছে
কয়টা ঠেকাতে খরচা ক’টাকা? জমা কত জেবে আছে?

কাহারে কহিবে, কারে বুঝাইবে ভাবিয়া পায়না কুল
এত সময়ের চেষ্টা কি তবে হয়ে যাবে সব ভূল?
এই সূত্রের প্রমানের তরে অর্থের প্রয়োজন 
কোথাহতে সেই খরচার টাকা করা যাবে আয়োজন?

সরকার আছে, টাকা তার কাছে অগনিত জমা রয়,
তাদের বোঝালে দেশের স্বার্থ বুঝিবে সে নিশ্চয়।
সরকারী সব অফিসে অফিসে ধর্না শুরুযে হলো
তাহাদের সব ম‍্যানেজে বছর পাঁচেক চলিয়া গেল।

নতুন চিন্তা গবেষনা গুলো সেই থেমে আছে কবে!
এইটার রফা হইলে তখন ওগুলোও শুরু হবে।
বহুত চেস্টা তদবীর শেষে রাজি হয় সরকার
বিশেষজ্ঞের এক কমিটির  মতামত দরকার।

আমলা কামলা রাজনীতিবিদ সবমিলে আটজন
তাহাদের নিয়া সচিবালয়েতে কমিটি হল গঠন। 
এইবোর্ড যদি পাশ করে দেয় তবে এর গতি হবে
শিক্ষিত আর জ্ঞানী গুনীরাই এই কমিটিতে রবে।

আইনস্টাইন টেনশনে ঘাম মোছেন রুমাল দিয়ে
সবটুকু ফের সতর্কভাবে পুনরায় দেখে নিয়ে
যখন আসিয়া রুমে বসিলেন মনে হলো কাঠগড়া 
এক আসামীর বিচার করিতে আট বিচারক ভরা।

পরিচয় শেষে আইনস্টাইন যেই করিলেন শুরু,
ওধার হইতে থামাইয়া দিয়া প্রশ্ন ছুড়িনা মারে
পিতার নাম কি? কি করিতো তিনি? জানেন তো নিশ্চয় 
এই তহবিল “লডাইয়ের কোটা”  সাধারণ এটি নয়।

লডাইয়ের কোন ছবি-টবি আছে? কিংবা কোন সনদ?
সেটাই দেখিবে যাচাই করিয়া  আমাদের পর্ষদ।
থাকলে বসেন, না থাকলে কেন সময় নষ্ট করা?
সাধারন যারা তাহাদের তরে আর নাই কিছু ধরা।


হতাশ হইয়া আইনস্টাইন নদী তীরে নির্জনে
পেছনের কথা স্মৃতির রোমন্থনে
দিন-রাত শুধু অংক কষিয়া সময় কাটিয়া গেছে
লড়াই করিলে এই অংকের 

অবশেষে তার উপলব্ধিতে ভূলটা পড়িয়ে ধরা-
আবিস্কারের চাইতে এদেশে জরুরী “লড়াই করা”।


Friday, August 29, 2025

নির্বোধের সর্গ



বল তো দেখি, সত্যি করে—
শান্তিতে কি আছিস?
নিজের গড়া জাহান্নামে
স্বর্গের আশায় বাঁচিস?
পরের তরে গর্ত খুঁড়ে
করলিরে সব মাটি;
তুই, আমি আর আমরা মিলে
সেই পথেই হাঁটি।
লোভে পড়ে পায়েশ ভেবে
মলে দিলি চাটা;
আরাম করে বসলি যেথায়
বাঁশটি ছিল ফাটা।
ফাটাবাঁশের ঝক্কি অনেক,
যায় না নড়াচড়া;
ক’দিন পরে বুঝবি, কারে
বলে জ্যান্ত মরা!

Tuesday, August 5, 2025

মুক্তি নামের অসুখ - মুক্তি প্রীতি




মুক্তি মানে অন্ধকারে
আশার আলোর রেখা।
মুক্তি মানে স্বাধীনভাবে,
যা ইচ্ছে তাই লেখা।


মুক্তি মানে মনের কথা,
নির্ভয়ে সব বলা;
মুক্তি মানে স্বার্থ 
সবার,

রক্ষা করে চলা।


মুক্তি মানে অন্য সবাই,
মুক্ত আমার থেকে —
মুক্তি মানে মুক্ত আমি,
অন্য সবার থেকে —


মুক্তি মানে ভালোবাসা;
বয়ে চলা নদী —
মুক্তি মানে পুরো জাতির,
এগিয়ে চলার গতি।


মুক্তি মানে ধানের ক্ষেতে,
উতাল পুবাল হাওয়া —
মুক্তি মানে যুক্তি দিয়ে,
সত্যটাকে পাওয়া।


মুক্তি সকল বৈষম্যের,
ঘটায় অবসান —
মুক্তি হলো ব্যক্তিত্ব,
আর আত্মসম্মান।


মুক্তি হলো মুক্ত চিন্তা —
ভাবনা এবং কাজে।
মুক্তি আছে নিজ ইচ্ছায়,
বাঁচা-মরার মাঝে।


মুক্তি হলো মনের ভেতর,
স্বাধীন স্বাধীন বোধ —
মুক্তি মানে নয়তো শুধু,
গুড়িয়ে দেওয়ার ক্রোধ!


মুক্তি পাগল এই বাঙালি —
পাগল একটা জাতি!
স্বাধীন দেশকে মুক্ত করে,
তারা দিবা-রাত্রি।


একদল এসে দখল করে,
জুলুম-শোষণ চালায় —
বাকিরা সব সময় কাটায়,
যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায়।


ঠিক খেলা নয় — রক্ত-জীবন,
আমজনতার ঝড়ে।
রাস্তাঘাটে, কিংবা তারা,
বাসায় বসেও মরে।


এক দল এসে কয়েক বছর,
থাকবে ধনে-মানে —
দেশটা লুটে ব্যস্ত রবে,
সম্পদ আহরণে।


তার পরে দেশ মুক্ত হবে,
আসবে আর এক দল —
একই খেলার ঘূর্ণিপাকে,
একই ফলাফল।


শেষিতদের ঘুরে-ফিরে,
শোষণ করাই হবে।
মালিক পক্ষ লুটবে আবার —
পরে বিদেশ রবে।


এটা হলো দেশ ডাকাতির,
সুচতুর এক রীতি —
সময়টাকে ভাগে ভাগে,
ব্যবহারের কৃতি।


এটাই চলে সেই দেশে,
যেই দেশের জনগণ —
মুক্তিপ্রীতি রোগে ভুগে,
জীর্ণ যাদের মন।


লড়াই করে বেঁচে থাকা,
লক্ষ তাদের স্থির —
বিফলতার লক্ষ্যে এরাই,
রক্ত দেওয়া বীর!

 

Tuesday, July 29, 2025

ঘুষের রেট!!

 দুষিত মনের লোভ বেড়ে চলে

যত গত হয়  DATE.


ঘুষ নিতে-নিতে শান্তি হারিয়ে

বাড়াবি তোর POCKET?

বুঝবি যেদিন - ততদিনে হায়!

হয়ে যাবে খুব LATE.


Sunday, July 13, 2025

কনভেন্স খোর




আঁধার রাতের শেষে রোজ হয় ভোর
ঘুম ভেঙ্গে মনে পড়ে “কনভেন্স খোর”

যুগে যুগে এই মাল নানা রূপে আসে;
ক্ষমতা ও অর্থের লোভে তারা ভাসে।

নিজেকে নিজেই তিনি, দেন Authority-
মন তার লোভে ভরা Impurity

দু’ছিলিম সুখটান দু’টাকার লোভ
মনেতে জাগায় তার নিদারুন ক্ষোভ।

দুর্নামে ট্যাগ করা তার রাজনীতি
“যোগ্যতা” তার কাছে দুঃসহ ভীতি।

এই বুঝি যায় পদ এই যায় টাকা
এর ওর নাম দিয়ে কনভেন্স হাকা।

আবৃত্তি নাচ-গান নেই তার ঘটে-
তাই আজ “কনভেন্স খোর” তিনি বটে!



Friday, July 11, 2025

পাপের দেশে

মোরা থাকি পাপের দেশে, মোরা পাপী নির্বিশেষে;
তুমি পাপকে করো ঘৃণা-; না না বলতে ওসব মানা।
না না না না না না না - হেথা বলতে ওসব মানা।।

মোরা খুঁজে খুঁজে বিভেদগুলো মাথায় জড়ো করি
মোরা বন্ধুত্ব হত্যা করে, শত্রুতা জয় করি!
মোরা পশুর মতো মানুষ মারি; পশু ভালোবাসি-
মোরা মানবরূপী পিশাচ, মোরা লোভী সর্বনাশী।
হেথা যুক্তি আর প্রশ্ন?!!! - তুলতে ওসব মানা।।

মোরা স্বপ্ন দেখি মিথ্যে জেনেও সেই স্বপ্নেই মরি -
মোরা অমানুষের মানবাধিকার বাস্তবায়ন করি
মোরা জেনে শুনেই নরক বানাই, বেহেশত নাম দিয়ে
আর তার ভেতরে নিজেদেরকে যাই নিজেরাই নিয়ে।
মোরা নির্বোধ এক জাতি?!!! ভাবতে ওসব মানা।।

Sunday, June 15, 2025

দুধের মাছি



দুধের মাছির যোগ্যতা এক,
সময়ে দুধ খাওয়া;
অসময়ে দূরবীনেও
যায় না খুঁজে পাওয়া।
তোমার আশপাশেও এমন
অনেক মাছি আছে;
খাওয়া হলেই, সব ভুলে ফের
লাগবে তোমার পাছে।
বেইমানির এই দৃশ্য এখন
চলছে চারিপাশে;
বানিয়ে এদের, সৃষ্টিকর্তা
অলক্ষেতেই হাসে।

Monday, June 9, 2025

বড় ভাই-



শিল্প এবং সাংস্কৃতির আমি বড় ভাই!
এসব শুনে হাসে যারা তাদের বলে যাই-
ফ্যাসিষ্ট তারা, হিসেব নেব সুযোগ যদি পাই!

তারা বলে আমার নাকি কোন প্রডাক্ট নাই 
গান, কবিতা, নৃত্যকলা, 
সবই আমার ছলাকলা;
সারা জীবন একটি মাত্র পথনাটক ভাই
মঞ্চেও নাই ষ্টেজেও নাই” - সবই শুনতে পাই।

বহুদিনের পরে এলো একটু সুযোগ তাই
কি হয় তোদের; একটু যদি মেরে কেটে খাই?

আমার খাওয়া বন্ধ হলে-
মোর গদিতে আগুন দিলে-
ফ্যাসিষ্ট তোদের বানিয়ে দেব
তোদের  ক্ষমা নাই।

দেখবি তখন নীল আকাশে 
ঘাস খাবে নীল গাঁই!😛


Friday, June 6, 2025

ফুল ফোটাবো গানে গানে 
আজকে মোরা সব


Monday, May 26, 2025

ধর্ম অধর্ম

 


ধর্ম কি আর মর্মে আছে? ধর্ম দাড়ি-টুপিতে-

ধর্ম এখন লোক দেখানো, আলো বিহীন কুপিতে।

ধর্মের আলো ফিকে এখন, ধর্মালয়ের বাড়ছে শান;

হাজার রকম ধর্ম দেখে, সৃষ্টিকর্তা পেরেশান।


নানান ঢঙে, নানান সাজে, ডাকছে মানুষ তারে

তবু কেন এই দুনিয়া ডুবছে পাপের ভারে?

শেষে দেখেন, ধর্ম এখন, কলিকালের পন‍্য

ধর্ম বেচেন ধর্মগুরু, নিজ স্বার্থের জন‍্য।

Monday, May 12, 2025

আসল বাটপার

 
উৎপাদন আর পরিশ্রমে আমরা কামাই করি-
খাই বা নাখাই কোষাগারে রোজই Money ভরি।
আমরা হলাম আম-জনতা, দেশের নাকি মালিক!
ময়না-টিয়া বরাদ্দ হয়, হাতে মেলে শালিক।
নিজ ঘরেই ভাড়া গুনি, শিক্ষা দিগুন দামে
টাকা দিয়া হয়রানি পাই সু-চিকিৎসা নামে!
যেইখানে যাই, যেই অফিসেই সব অচেনা লাগে,
যেন কোন সুপার মলে ব‍্যবসা চলে ভাগে।
বাড়ছে Daily দাম, এদিকে কমছে সেবার মান
বাড়তি টাকার পরিশ্রমে ওষ্ঠাগত প্রান।
সকল টাকার ভাগা নাকি উপর দিকে ওঠে-
ওপর তলার এক ধরণের প্রানী, সেসব লোটে।
তারা সবাই মাননীয়, শিক্ষা, জ্ঞানে সেরা-
তাদের ১ এর তরে মোরা লাখের বেশি ভেরা।
তাদের Savings, luxary আর তাদের ভবিষ্যৎ-
গডতে হবে মোদের, সেটাই একমাত্র পথ-
লিখবে যত কানুন, বিধি, Guideline আর Rule
সবখানেই তাদের লাভের চিন্তাটাই মুল।
মোদের রক্ত, মাংস, হাড্ডি কিছুই মোদের নয়,
তাঁদের মলে এইগুলিও টাকার বিক্রি হয়।
সকল টাকাই ঘুরেফিরে তাঁর পকেটে ঢোকে-
আমরা বৃথাই কেঁদে মরি, পরের টাকার শোকে।

তাইতো তোমার আমার পকেট একই রকম ফাঁকা
মোদের টাকায় ভাগা বসায় কিছু সচিব কাকা।।
এই কাকারা সচিবালয় নামের ক্লাবে বসে-
দেশে কামায় বিদেশ জমায়, জীবন কাটায় রসে। 

বোকার দেশের কবিরাজ-



কবিরাজ সে নয়তো কবি
বানান ওষুধ, পথ্য;
রোগ ও রোগের ওষুধ নিয়ে
জোগাড় করেন তথ্য।

হঠাৎ করে উদয় হলেন
অচিন কবিরাজ

নিখুঁত বেশে, নিখুঁত চোপা
নিখুঁত তাহার সাজ।

চাপাবাজি শুনে মানুষ
নানা রোগের তরে

ওষুধ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাতে
চার পাশেতে ঘোরে।

বায়না দিয়েও পায় না ওষুধ
দেন না কোনো বড়ি;
ঘোরান শুধু টাকা নিয়ে
দেখেন শুধু ঘড়ি!

ধৈর্য ভেঙে মানুষ যখন
ছিড়লো তাহার ঝোলা

চিরকুট এক মিললো সেথায়
আট লাইনেই বলা

বোকার দেশে, যে
যতটা মিথ্যা কথা বলে
যাচাই ছাড়াই সব বোকারা
তার কথাতেই চলে।

সেথায় যদি সত্যি কিংবা
যুক্তি দেখাও তবে;
ভাগ্যে জুটবে অপমান
আর পকেট ফাঁকা রবে

Monday, May 5, 2025

সরকারী ভুল আর জনতার মাসুল


ভুল করে জয়নাল 

ভুলে ভুলে পয়মাল 

সরকারী চাকুরীটা করে সে-

ধরে ধরে সেই ভুল

জনতা গনে মাশুল

আয়নাল পকেটটা ভরে যে!




Thursday, May 1, 2025

১ মে, মে দিবস

প্রতি বছর  পহেলা মে একবার আসে যায়; 
এক বছরে সকল শ্রমিক ওই একটা দিন পায়
বছর প্রতি একটা দিবস; নয়তো সে কম পাওয়া!
আনন্দে সব গদ - গদ আর কি আছে চাওয়া?
আজকে সারা দিনের ছুটি নেইতো কোন কাজ
কাজ মজুরি বন্ধ সবই, নেই কাজ, খই ভাজ।
সকাল বেলায় হবে মিছিল, জনসভা রাতে,
শ্রমিক অধিকারের তরে হাত মেলাবে হাতে।
 
সেই মিছিলের সামনে শুধু বুদ্ধি শ্রমিক রবে
ঘামে ভেজা কালো শরীর মান পেয়েছ  কবে?
আলোচনা চাপাবাজি নেতার আনাগোনা
মে দিবসে ছেলে মেয়ে করবে নাচা গানা।
খানা-পিনা সবশেষে আজ খাবে সবাই মিলে
হরেক রকম আশারবানী ঢেউ ওঠাবে দিলে।
সকল শ্রমিক? ঠিক সব না; রুলিং পার্টির যারা-
আর শহরে থাকে; কেবল দাওয়াত পাবে তারা।
 
তাদের কিছু নেইতো বলার, ভীড় বাড়ানোই কাজ
নেতার কথায় তাল মেলানো,


Monday, April 21, 2025

আমলাচরিত-


 কুকুরের লেজ হয়না কখোনো সোজা-

বাচ্চা যেমন দেয়না কখোনো খোজা।

তেমনি সদাই চামচা থাকিবে, আমলা

আমলা তাহার; যে ভরিবে তার গামলা।

টাকা ও ঘৃনায় ভরিবে তাদের ভান্ডো-

মানুষ বলিবে “স্যার- শালারাই গান্ডু”।

Monday, April 7, 2025

শান্তিতে আছি ভাই-



শান্তিতে আছি ভাই
খুন গুম রেপ নাই;
রাহাজানি ছিনতাই
চোর ছ্যাচ্চর নাই।
 
রাজনীতি-সন্ত্রাস,
এর গাড়ে ওর বাঁশ,
দল মানে সব পাশ,
রিরোধীরা বদমাশ,
শোষনের নাগপাশ-
এসবের কিছু নাই।
 
পাবলিক অফিসেতে
হয়রানি ঘুষ নাই
সিষ্টেমে খুত নাই;
বকশিশ নিয়ে নিয়ে
খুশী হওয়া ভূত নাই।
জনতার চাকরেরা 
জনবান্ধব তাই;
শিক্ষা, চিকিৎসায়
অখুশীর লেশ নাই ।
 
প্রশাসনে বাঘ নাই
সিংহের ডাক নাই-
কথা আর কর্মেতে
বিস্তর  ফাঁক নাই!
যোগ্যরা বঞ্চিত?
ওসবের লেশ নাই।
রেফারেন্স, তদবীর,
দখলবাজির ভীড়-
হুড়োহুড়ি পাড়াপাড়ি
সব কিছু শেষ ভাই;
দল-বেধে মাঠে-ঘাটে
অফিসেতে লুট নাই।
আইনের ফাঁক নাই
দরদাম হাক নাই।
দালাল বা চামচার
খাই খাই আর নাই;
 
সরকারী সেবা সব;
চাইলেই হাতে পাই
দলাদলি, ফালাফালি,
বিভেদের লেশ নাই।
বৈষম্য হটিয়ে;
মোরা সব ভাই ভাই।
 
টুটি চেপে ধরা নাই
মোটা নাই, সরু নাই ;
বাসী-তাজা যাই হোক
খাদ্যে ভেজাল নাই।
চোর নাই, লুট নাই
বিপরীত মতবাদ;
দেখলোই শুট নাই।
সাম্যের সুবাতাসে
নির্ঘুম রাত নাই।
 
সমস্যা একটাই
এসব করার তরে;
ম্যান্ডেট দেয় যেটা-
দেশ সেই ভোট নাই।
x

Monday, March 10, 2025

হালাল হারাম



গান জানিনা? বলিস কিরে! 
বাথরুমে তো রোজই গাই-
টাইমলাইন তো ঘুরে এলি;
দেখিসনা! লাইক কত পাই?

ফালতু রেয়াজ করলি বহুত
কি দাম আছে এই দেশে?
অর্থও নাই, সম্মানও নাই 
মারা খাবি সব শেষে।

হারাম জিনিষ; করলেই পাপ;
তারচে ভালো চেঁপে যা!
এই হারামির আতুর ঘরে-
হালাল-হারাম মেপে যা!


Monday, March 3, 2025

খাই খাই চাই চাই


 

খাই খাই চাই চাই
বহু দিন খাই নাই।
খেতে গিয়ে মরে যাই,
তবু আরো খেতে চাই।

তুই ভাই দুরে থাক
আরো খাবো, হাঁক-ডাক
দেখে হই নির্বাক!
চলছে তো চলছেই

তাকাওনা যেদিকেই,
সবকিছু গিলছেই।
পেট ভরে ফেটে যাক
খাওয়ার শেষ নেই

চেয়ে চিন্তে খাই-
মুখ থেকে কেড়ে খাই
পচা-ধচা সব খাই
পেটে বড় ভুক ভাই। 



এক মহান নেতা


আমি হলাম এক মহান নেতা
দেশ ও জাতির কান্ডারী;
জনগন দিন-রাত কাজ করে সব
আমি সেথা হই ভান্ডারী।
 
পরিবার সব মোর ভিন দেশে রয়
সেথা আছে মোর গাড়ি বাড়ি।
পড়াশুনা ট্রিটমেন্ট রাজার হালে;
ঘরে চলে রাজকীয় হাড়ি।
 
নিজ দেশে কাজ মোর শুধু একটাই
জনগন রাখা টেনশনে!
ধর্য্য ধরিয়া তারা  মুখ বুজে যেন,
সুদিন আসার দিন গোনে।

আমার দেশের এই আবেগী জনতা!
চোরের দুঃখে যারা কাঁদে;
চোরযদি জেলে থাকে; কিংবা বিদেশে;  
তবে তারা ভোগে অবসাদে।

প্রাণ করে আনচান’ এই মোর পিছুটান
 তাইতো এ দেশ ভালোবাসি।
সবার মাথার পরে ভাঙ্গিয়া কাঠাল,
পরিবার নিয়ে আমি হাসি। 

Sunday, February 23, 2025

গাধার দেশে-



যতই বলো, কিংবা পেটাও
ছাড়বোনা এই চেয়ার!
চেয়ার এবং অযোগ্যতার
এমনটাই পেয়ার।
চেয়ারগুলো গাধার দেশে
খুব ক্ষমতার ধরে;
কর্তব্যের নেইকো হিসেব-
সুযোগ থরে থরে!
”করার যা” সব বাকীর খাতায়,
”সুযোগ” নগদ নিয়ে;
গাধার দেশে সব গাধাদের
সান্তনা যাই দিয়ে!
গাধার যদি তারপরেও
খুব হৈ-চৈ বাড়ে;
বিরোধীদের লক্ষ করে;
দেই ফাঁসিয়ে তারে!
গাঁধা কি আর মন্দ-ভালোর
তেমন কিছু জানে?
ঘাষ-ভুসিতেই তুষ্ট তারা
সেটাই স্বর্গ মানে।

24/12/25

Tuesday, February 18, 2025

নব্য ফ্যাসিষ্ট




নব্য ফ্যাসিষ্ট-
 
ইচ্ছে হলে রাখেন তিনি
ইচ্ছে হলেই মারেন;
ইচ্ছে হলে টিপে ধরেন
ইচ্ছে হলেই ছাড়েন!
ইচ্ছে হলে মিথ্যে বলেন
ইচ্ছে হলেই চুপ!
ইচেছ হলে চাপড়ে টেবিল
বিরাগ ঝাড়েন খুব।
ইচ্ছে হলে খেয়ে দেয়েও
বলেন ক্ষুধায় আছি;
ইচ্ছে হলে লম্পটদের
রাখেন কাছাকাছি।
ইচ্ছে হলেই ব্যবসা করেন;
ইচ্ছে হলেই হাওয়া;
সুযোগ পেলেই শুরু করেন
রাজনীতি গান গাওয়া!
ইচ্ছে হলেই অযোগ্যদের
গলায় রাখেন হাত;
ইচ্ছে হলে; মারা খেয়েও
ভোলেন প্রতিঘাত।
ইচ্ছে হলেই তুড়ি দিয়ে
যুক্তিকে দেন ফাঁসি!
ইচ্ছে হলেই ছ্যচড়া পটান
দিয়ে মুচকি হাসি!
ইচ্ছে হলেই যাচ্ছেতাই কে
প্রতিষ্ঠাতেই খুশী;
ইচ্ছে হলেই আগুন ধরান;
ইচ্ছে হলেই ঘুষি!

তার ইচেছতে না চললে কেউ,
 শত্রু সে এই দেশের;
তাহার মতোন না হলেই
ক্ষতি পরিবেশের।
অনুভূতি সবগুলো তার
সবার চেয়ে বেশী;
ভিন্ন মতাদর্শ রুখতে
লাগান হাতের পেশী।
কোন কিছুই তারচেয়ে আর
কেউ বোঝেনা ভালো!
নানান গুনের আধার তিনি
দেশ ও দশের আলো।
এসব গুনের ছিটে ফোটাও
দেখলে অন্য কারো-
রেগে তারেই ফ্যাসিষ্ট বলেন-
বুদ্ধি! ভাবতে পারো? -!!!