মুক্তি
মানে অন্ধকারে
আশার আলোর রেখা।
মুক্তি মানে স্বাধীনভাবে,
যা ইচ্ছে তাই লেখা।
মুক্তি
মানে মনের কথা,
নির্ভয়ে সব বলা;
মুক্তি মানে স্বার্থ সবার,
রক্ষা করে চলা।
মুক্তি
মানে অন্য সবাই,
মুক্ত আমার থেকে —
মুক্তি মানে মুক্ত আমি,
অন্য সবার থেকে —
মুক্তি
মানে ভালোবাসা;
বয়ে চলা নদী —
মুক্তি মানে পুরো জাতির,
এগিয়ে চলার গতি।
মুক্তি
মানে ধানের ক্ষেতে,
উতাল পুবাল হাওয়া —
মুক্তি মানে যুক্তি দিয়ে,
সত্যটাকে পাওয়া।
মুক্তি
সকল বৈষম্যের,
ঘটায় অবসান —
মুক্তি হলো ব্যক্তিত্ব,
আর আত্মসম্মান।
মুক্তি
হলো মুক্ত চিন্তা —
ভাবনা এবং কাজে।
মুক্তি আছে নিজ ইচ্ছায়,
বাঁচা-মরার মাঝে।
মুক্তি
হলো মনের ভেতর,
স্বাধীন স্বাধীন বোধ —
মুক্তি মানে নয়তো শুধু,
গুড়িয়ে দেওয়ার ক্রোধ!
মুক্তি
পাগল এই বাঙালি —
পাগল একটা জাতি!
স্বাধীন দেশকে মুক্ত করে,
তারা দিবা-রাত্রি।
একদল এসে
দখল করে,
জুলুম-শোষণ চালায় —
বাকিরা সব সময় কাটায়,
যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায়।
ঠিক খেলা
নয় — রক্ত-জীবন,
আমজনতার ঝড়ে।
রাস্তাঘাটে, কিংবা তারা,
বাসায় বসেও মরে।
এক দল
এসে কয়েক বছর,
থাকবে ধনে-মানে —
দেশটা লুটে ব্যস্ত রবে,
সম্পদ আহরণে।
তার পরে
দেশ মুক্ত হবে,
আসবে আর এক দল —
একই খেলার ঘূর্ণিপাকে,
একই ফলাফল।
শেষিতদের
ঘুরে-ফিরে,
শোষণ করাই হবে।
মালিক পক্ষ লুটবে আবার —
পরে বিদেশ রবে।
এটা হলো
দেশ ডাকাতির,
সুচতুর এক রীতি —
সময়টাকে ভাগে ভাগে,
ব্যবহারের কৃতি।
এটাই চলে
সেই দেশে,
যেই দেশের জনগণ —
মুক্তিপ্রীতি রোগে ভুগে,
জীর্ণ যাদের মন।
লড়াই করে
বেঁচে থাকা,
লক্ষ তাদের স্থির —
বিফলতার লক্ষ্যে এরাই,
রক্ত দেওয়া বীর!

No comments:
Post a Comment