Friday, November 17, 2023
Thursday, November 16, 2023
আয়কর নোটিস ২০২৩
ট্যাক্স অফিসের নোটিশ এসেছে
বলিয়াছে দেখা করতে
মনে ভাবিলাম, সারিয়াছে কাম
জম আসিতেছে ধরতে।
চালানের ফাইল, বিল ভাউচার
হিসাবের খাতাখানা
ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট, অডিটের কপি
করিতেছি ফানা ফানা।।
ট্যাক্স অফিসের হয়রানি সেতো
নাকানি চুবানি খাওয়া।
মনে মনে ভাবি এর চেয়ে ভালো
বাঘের খাঁচায় যাওয়া।
দিনে টেনশন রাতে ঘুম নাই
কোনখান দিয়া ধরে?
কোন ভুল খানা ধরাইয়া দিয়া
নিজের পকেট ভরে!
অপারগ হয়ে সব কিছু লয়ে
পৌছলাম অবশেষে
সহকারী আপা মুচকি হাসিয়া
বলে বিজ্ঞের বেশে।
স্যার আসেনাই, টেনশন কেন?
সব হয়ে যাবে ঠিক
আমাদের দিকে চাহিয়েন ভাই
হাসিলেন ফিক ফিক।
বলি ভয়ে ভয়ে, কি করিতে হবে?
এগুলো কি দিব জমা?
বলিলেন তিনি; এসব কিছুতে
হইবেনা কিছু ক্ষমা।
পরির্শক যাইবে বাড়িতে
দেখিবে খুটিয়া সব
হাজার বিশেক দিবেন তাহাকে
পরে জানিবেন সব।
পরিদর্শ আসিয়া কহিলো
কোন কিছু ঠিক নাই।
হিসেবের খাতা বিল ভাউচার
যতই তারে দেখাই।
কোনখান থেকে কি ভূল হইলো
কিছু নাহি কন খুলে।
মুখখানা তার গম্ভীরকরে
কলম লইলো তুলে।
বিজ্ঞের মতো চশমাটা খুলে
বলিলেন অবশেষে
মনে হইতেছে কপাল খারাপ
যাইবেন বুঝি ফেঁসে।
বিশ হাজারের খামটি তুলিয়া
দিলাম তাহার হাতে।
চোখ ঘোচাইয়া বলিলেন তিনি,
কিছু হইবে না এতে!
স্যারের জন্য হইবে যে দিতে
আরো লাখ দুই তিন।
মনে ভাবিলাম পরিবার নিয়া
কাটিবে কিভাবে দিন।
ঘুষ না পাইলে কর ধরে দেবে-
আপিল যাইতে হবে;
আপিলের ঘুষ, উকিলের ফিস-
কর
যা, সেটাই রবে।
সব
শেষে আছে জামানত দিয়ে
ট্রাইবুনালের ফের-
সেটাসেট করে আরো ক্ষতি
হবে-
অর্থ ও স্বাস্থ্যের।
সব কিছু হায় যদি চলে যায়
করের ঘুষের খাতে,
পরের বছর পরিবার নিয়া
ভাত জুটিবেনা পাতে।
হাত জোড় করে কহিলাম “দাদা
কিছু কম করা যায় না”?
তিনি হেসে কন কর ধরে দিলে
লাখ বিশেকেও হয় না।
মনে মনে ভাবি সারা বছরের
দশ লাখ আয় নাই
বিশ লাখ টাকা কোথা হতে দিবো
ভেবে কুল নাহি পাই।
অবশেষে রফা হল দুই লাখে
কিছু করও দিতে হবে;
সহকারী সেই আপার পাওনা
সেটাও মিটাতে হবে।
সারা বছরের নীট ইনকাম
হইয়াছে লাখ ছয়
ঘুষে আর করে গেল তিন লাখ
তিন লাখ বাকী রয়।
মনে মনে ভাবি, হয়তো আমার
হিসেবে রয়েছে ভুল।
কষ্ট করিয়া আমি আয় করি
ধনী হয় নেফাউল।।
Wednesday, August 23, 2023
দেশ
একটা পুকুর টইটুম্বুর নানান মাছে ভরাঅগনিত মাছ অসহায়, যায়না নড়া-চড়াঅল্প কিছু রাঘব বোয়াল পুকুর বেড়ায় চষেযারে ইচ্ছে তারে ধরে, দোষে বা নির্দোষে। রাঘব-বোয়াল চরিত্রহীন নেইকো নীতি-জ্ঞান।ছোট-ছোট মাছেরাই তাদের আবার ফ্যান।ফ্যান ঠিক নয়, প্রানের ভয়ে শোষন মেনে চলেপ্রানের ভয়েই প্রান দিয়ে যায় প্রতি পলে পলে।ছোট্ট এ প্রান ছোট্ট জীবন তবু কতই আশা।নরক ভয়ে নরকেই গড়ছে আশার বাসা।
Sunday, August 20, 2023
বঙ্গদেশের সার্বজনীন খাবার।
খাবার দাবার সার্বজনীন সবসময়ে হয় নাসকল খাবার সকল পেটে সমানভাবে সয়না।পেট কি বলি; দৃষ্টি ভঙ্গি! একের খাবার দেখে;অন্যজনের বমি আসে দেখলে তারে চেখে।ধর্ম-বর্ণ-দেশ ভেদেও নানান রকম রূচিএকজনে যা খায় সাদরে অপরের অশুচি।তারপরেও মহা খাবার আছে বঙ্গদেশেএই খাবারের রূচি আছে সকল নির্বিশেষে।ধর্ম-বর্ণ, চাকরীর গ্রেড প্রথম কিংবা চারহোক অফিসের প্রধান কিংবা হোক না সে ড্রাইভার।এই খাবারে রূচি বিরোধ নেই মোটে একচুলহোক না তাহার নাম অভিজিৎ, হোক না নেফাউল।
অন্ধকার
রাত ক্রমশই হচ্ছে ঘন, মানুষ ভোরের আশায়;হতাশা আর ক্ষোভ নিয়ে আজ নিজকে নিজে শাসায়।চেতনা আর ধর্মবাজির আছে নানান উপশম;মানুষ কি আর মানুষ এখন রোবট হবার উপক্রম।উদ্ধগতি মুল্য এবং নিম্নগতির আয়ে,ছুটছে মানুষ এদিক-সেদিক ছুটছে ডানে-বায়ে।এই সময়ে করের আঙ্গুল ঢুকছে পকেট মাঝে;ঘুষের টাকা, স্পিড মানি সকাল সন্ধ্যা সাঝে।যে যার মতোন করছে শোষন যায়না কিছু বলা আঘাতকারীর
আঘাত সয়ে, মুখটি বুজে চলা।মুখ বন্ধ, বিবেক এখন অবশ হয়ে ভয়ে!দুঃসহ এই পরিস্থিতি যাচ্ছে সয়ে সয়ে। ভুল বোঝালেও বুঝতে হবে, থাকতে হবে চুপ;যেথায় আছো স্বর্গ ভাবো, হলেও মৃত্যুকুপ।এদেশ আমার, এদেশ তোমার, সবার এদেশ ভাইদেশের তরে মুখ বুঝে সব সহ্য করা চাই।ঐযে দেখ ভিন্ন জাতের শকুন অপেক্ষাতে, এদের থেকে বেঁচেও গেলে পড়বে ওদের পাতে। শকুন আসে, বদলেও যায় আবার ফিরে আসেহায়নারা সব যথারীতি ঘোরে আশে-পাশে।জন্ম তোমার ধন্য হল পশুখাদ্য হয়ে;উর্বরা হোক জন্মভূমি তোমার রক্ত বয়ে।
Thursday, June 15, 2023
A time comes
A time comes
When something is echoed in every heart.
A time comes
When a thorn hurts in the happiness
There comes a time in everyone's life
When the world needs something to give.
We are all one big family on earth
Everyone is alone in this world
Everyone has to die.
Death does not mean end; it is Perfection.
Perfection of life but it is time.
We are part of time.
Whose constancy flows and moves
Eternity.
So let,s start giving..
দুরত্ব
আর কতটা দুরত্ব তৈরি করবে তোমার আমার মাঝে?
তিন লক্ষ চুরাশি হাজার কিলোমিটার দুর থেকে
চাঁদ প্রতিমাসেই জোছনা পাঠায় আমার কাছে।
কোটি কোটি কিলোমিটার দুর থেকে
সূর্যের আলো এসে দেখা দেয় রোজ।
সাত আসমান দুর থেকে।
মাঝে মাঝে ইশ্বর এসেও দেখা দেন,
যোগাযোগ করেন।
অসীম বিশ্বব্রক্ষান্ড আমার গা ঘেষে
রোজ তার উপস্থিতির জানান দেয়।
অথচ তুমি?
Friday, March 10, 2023
নাট বল্টু
বল্টু আসিয়া কহিলো নাটেরে তুই শালা বড় বাম
তোর প্রবেশের প্যাচে প্যাচে জ্বালা, ছুটিতেছে মোর ঘাম
নাট কহে শালা পুচকে বল্টু ঐটুকু তোর সাইজ!
ফোট শালা তুই, তোকে ছাড়া আজ, চলবে যে কাম কাইজ।
কল কব্জা ও যন্ত্রংশরা খুলিয়া খুলিয়া পরে
এমনি করিয়া সম্ভাবনারা, ধুকিয়া ধুকিয়া মরে।
বেকুব জনতা- ও রাষ্ট্রীয় চোর;
রাষ্ট্র ব্যবস্থাতে যখন সবখানেতেই চোর;
রাষ্ট্র তখন বিড়ম্বনা, মাচ মাচ মাচ মোর।
চোর- গাছে খাবে তলারটাকেও করবে পরিস্কার।
তারপরে কোন পদ্ধতিতে?
আটকাবে কোন কোন নীতিতে?
করবে আবিস্কার।
জনগন!
এমন চোরের মাঝে তুমি দেশের মালিক হয়ে;
পড়ে গ্যাছো গ্যাড়াকলে লোটা কম্বল লয়ে।
যেই নীতি আর যেই আইনটাই হোকনা কেন পাশ;
ওদের তাতেই পোয়াবাড়ো, তোমার পিছে বাঁশ।
আইন মানা সে তোমার কর্ম, পান থেকে চুন গেলে,
শাসন বানী শুনতে হবে,
জরিমানা গুনতে হবে, নিজের করা ভুলে।
ভাবছো তুমি যাচ্ছে বুঝি ওই টাকা রাজকোষে?
হয়তো তুমি জানতে পারে,
কিংবা আমায় মানতে পারো,
সব আইনেই পকেট ওদের ভরছে পরিতোষে।
বাড়ছে এখন দিনে দিনে সকল বাজার দর,
খরচ তোমার তোমার আয়ে
আধপেটে দিন যাক না বয়ে
চোরের টাকা দিতেই হবে, না হলে তুই মর।
খাটতে হবে, করতে হবে এক দিনে পাঁচ কাজ
না হলে কাল বিদেশ গিয়ে
শ্রমিক হয়ে লেবার দিয়ে,
রেমিটেন্স বাড়াতে হবে, যাই ভাবো সাত পাঁচ।
চোরের আবার বেতন আছে, ভুললে কি আর চলে?
দিতে হবে, বেতন-বোনাস মাস বা বছর গেলে।
হাত লাগেনা, বেতন তাদের ব্যাংকে পড়েই থাকে;
তারপরেও; মাস গেলে তা দিতেই হবে তাকে
বোকা মালিক, স্বপ্ন অলীক দেখতে অনেক পারো,
একদিন সব ঠিক হবে তাই মুখ বুজে সও আরো,
দেয়ালে পিঠ ঠেকে ঠেকে চামড়া গেছে উঠে,
মালিক হয়ে কর্মচারীর বইছ যে আজ মুটে।
হায় জনগন! বেকুব হয়েই কাটছে তোমার দিন!
রাজকীয় চোরের খোরাক বাড়ছে যে দিন দিন।
তোমার লাখো প্রানের দামে স্বাধীন হল দেশ;
দিয়ে দিয়েই আজকে তুমি হয়েছ নিঃশেষ।
পেট ভরেনা, রোগ সারেনা, শুকায়না তো ঘাম।
আটি ছোলা, এটাই এখন আম জনতার আম।
11.03.2023
রাষ্ট্র ব্যবস্থাতে যখন সবখানেতেই চোর;
রাষ্ট্র তখন বিড়ম্বনা, মাচ মাচ মাচ মোর।
চোর- গাছে খাবে তলারটাকেও করবে পরিস্কার।
তারপরে কোন পদ্ধতিতে?
আটকাবে কোন কোন নীতিতে?
করবে আবিস্কার।
জনগন!
এমন চোরের মাঝে তুমি দেশের মালিক হয়ে;
পড়ে গ্যাছো গ্যাড়াকলে লোটা কম্বল লয়ে।
যেই নীতি আর যেই আইনটাই হোকনা কেন পাশ;
ওদের তাতেই পোয়াবাড়ো, তোমার পিছে বাঁশ।
আইন মানা সে তোমার কর্ম, পান থেকে চুন গেলে,
শাসন বানী শুনতে হবে,
জরিমানা গুনতে হবে, নিজের করা ভুলে।
ভাবছো তুমি যাচ্ছে বুঝি ওই টাকা রাজকোষে?
হয়তো তুমি জানতে পারে,
কিংবা আমায় মানতে পারো,
সব আইনেই পকেট ওদের ভরছে পরিতোষে।
বাড়ছে এখন দিনে দিনে সকল বাজার দর,
খরচ তোমার তোমার আয়ে
আধপেটে দিন যাক না বয়ে
চোরের টাকা দিতেই হবে, না হলে তুই মর।
খাটতে হবে, করতে হবে এক দিনে পাঁচ কাজ
না হলে কাল বিদেশ গিয়ে
শ্রমিক হয়ে লেবার দিয়ে,
রেমিটেন্স বাড়াতে হবে, যাই ভাবো সাত পাঁচ।
চোরের আবার বেতন আছে, ভুললে কি আর চলে?
দিতে হবে, বেতন-বোনাস মাস বা বছর গেলে।
হাত লাগেনা, বেতন তাদের ব্যাংকে পড়েই থাকে;
তারপরেও; মাস গেলে তা দিতেই হবে তাকে
বোকা মালিক, স্বপ্ন অলীক দেখতে অনেক পারো,
একদিন সব ঠিক হবে তাই মুখ বুজে সও আরো,
দেয়ালে পিঠ ঠেকে ঠেকে চামড়া গেছে উঠে,
মালিক হয়ে কর্মচারীর বইছ যে আজ মুটে।
হায় জনগন! বেকুব হয়েই কাটছে তোমার দিন!
রাজকীয় চোরের খোরাক বাড়ছে যে দিন দিন।
তোমার লাখো প্রানের দামে স্বাধীন হল দেশ;
দিয়ে দিয়েই আজকে তুমি হয়েছ নিঃশেষ।
পেট ভরেনা, রোগ সারেনা, শুকায়না তো ঘাম।
আটি ছোলা, এটাই এখন আম জনতার আম।
11.03.2023
Wednesday, March 1, 2023
সাংস্কৃতি চর্চা
লিখতে থাকো গাইতে থাকো চর্চা থাকুক
অব্যহতআসুক দুঃখ দারিদ্র আর অবহেলা অবিরত;বাতাস খেয়ে থাকবে তুমি সইবে গরম, বর্ষা, শীততোমার ত্যাগই সংস্কৃতির উৎকর্ষে আবশ্যিক।কি চাও তুমি? তোমার জীবন ধন্য শুধুই দিয়ে দিয়ে;জাতি উঠবে মগডালেতে(!), তোমারটাকেই নিয়ে নিয়ে।দেশের তরে এতটুকু! হোক তা তোমার আমরন।মরলে, তোমায় স্মরন সভায় শোধ দেবে সব জনগন।মরোনোত্তর দুই চারটা পুরস্কারও জুটবে ভালে;পরপারে দেখবে তুমি, লাগবে হাওয়া মনের পালে।ভাবতে পারো সেথায় বসে, কি লাভ এসব এখন পেয়ে?সান্তনা নাও, কিছু পেলে, একবারে না পাওয়ার চেয়ে।মনে মনে চিন্তা তোমার, জন্মি যদি আর একবার;সাংস্কৃতির চর্চা? দুর দুর! আমলা হওয়াই ফায়দার।০২/০৩/২০২৩
Subscribe to:
Comments (Atom)





