Friday, September 11, 2015

মুক্তিযুদ্ধ আর চেতনার ব্যাপারী

এক পরিবার, যে যার মত সব দলেতেই আছে
ডান-বাম বা এদিক ওদিক সবাই আছে কাছে।
যে দল আসুক, নো প্রবলেম, ব্যবসা রবে খাড়া
কোন চেতনা ? সে যাই হোক; কিসের এত তাড়া?
ভোটের সময় ডুব দেয় সে, দল কি বড় ভাইয়ের চেয়ে?
মৌসুম এলেই দুধের মাছি, চেতনায় সে ওঠে নেয়ে
হেন চেতনা, তেন চেতনা, বাকী সবই দুর
মাসী হলেও, গলায় তাহার মায়ের শাসন সুর।

মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়, তরতাজা সে যুবক তরুন
প্রাণটি তাহার অনেক দামী, কেমনে হারান এ প্রাণ বলুন?
তাই সে দূরে যুদ্ধ থেকেও, দুই নৌকায় পাও
যখন যেমন তখন তেমন, মহাজনের নাও।
বিকেল গেলেই পিয়াজ দিয়ে হয় শুরু তার সাঁঝ
বাকী কথা যায় না বলা, নাই বা বলি আজ
এই সুরতেও, যায় যে হওয়া নামকরা প্লেবয়
না দেখলে, হয়কি মালুম? দুর্জনেরা কয়।

চেয়ার তাহার খুবই প্রিয়,পা ধরতেও এরই তরে
ছোট-বড়, সুশীল-কুশীন, সবার কাছেই ধর্না ধরে।
চেয়ার পেলেই রূপটি তাহার বদলে যে যায় আগের মত
সুশীল সমাজ, সংস্কৃতির, রক্ত চোষেন পারেন যত।
শিল্পী ছেটে কর্মী বানান, শিল্প পালায় ডরে
শিল্প, থাকুক নাইবা থাকুক, চেয়ার যেন ভরে।
নিজেই নিজের শিল্পামোদী, নিজেই সমালোচক
বিলোস্টান্ডর্ড! কোন শালা কয়?  চেতনা বিরোধী লোক।

শিল্প কিংবা শিল্পীর চেয়ে কর্মী তাহার লাগে বেশী
মাথা গুনে হয় ডোনেশন, পরে খাটবে এদের পেশী।
অনেক দোকান একই মানুষ, খেক-শেয়ালের মত
এক ছানা’ই উঠান নামান, পপুলেশন শত।

হাইলি এডুকেটেড তিনি, পায়না নাগাল সার্টিফিকেট
যায় না বলা কখন কোথায় পান যে তিনি ভোটের টিকেট।
শিল্প সংস্কৃতির মাঝে শৈল্পিক এক ব্যবসায়ী সে
মুক্তিযুদ্ধ আর চেতনা পুজি করেই আছেন সে যে।
বললে যে যায় অনেক বলা আজকে নাহয় এটুক থাক
ছাই দিয়ে তায় ধরলে সবাই, থাকবেনা রাখঢাক।।

শেষ কথা তাই বলি, সবাই মনটি দিয়ে শোন
দুরে থাকো ভাল রবে সন্দেহ নেই কোন। 
কেউ যদি তায় ভরসা করে, ভুগবে সে জন ভুগবে
দিগন্তে শুকতারার মত, একলা রোগে ধুঁকবে।

তারিখঃ 31.08.2015

Friday, July 24, 2015

একটি প্রশ্ন

অসভ্যতার চৌকাঠ পেড়িয়েছি অনেক আগেই।
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সবকিছুর সংস্থান হয়েছে প্রায় সবার
আমরা এখন বিভিন্ন স্তরের ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা।
বুটের চকচকে ভাব আরো কিভাবে বাড়ানো যায় আমরা এখন তার চিন্তা করি
কিংবা একটু পরিপাটি সুট অথবা আরো মসৃন বা আকর্শনীয় ত্বক।
সৃষ্টি হয়েছে শিল্প, সংস্কৃতি
আমরা আরো এগিয়েছি, সৃষ্টি হচ্ছে বিমূর্ত শিল্প।
আমরা ভালোবাসার অনেক উপমা তৈরি করেছি
কষ্টের রং খুঁজে বের করেছি
ফাল্গুনী বাতাসকে রুপান্তর ঘটিয়েছি গানে
জীবন প্রষ্ফুটিত করেছি উপন্যাসে, গল্পে, নাটকে
আমরা জীবন সৃষ্টি করে চলেছি
সৃষ্টি করছি আনন্দ, দুঃখ, অভিমান, অনুরাগ
চলছে জীবনের মানে বের করার অসীম প্রচেষ্টা।
নিজেদের আমরা এখন শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে দাবী করতে পারি।
কিন্ত শ্রেষ্ঠত্বের মানে কি?    
জ্ঞান, বুদ্ধি, শক্তি দিয়ে অন্যদের টা ছিনিয়ে আনা?
নাকি অন্য কিছু?

কাপুরুষের জবানবন্দি

তুমি শোন বা না শোন
কিচ্ছু এসে যায়না।
তোমাদের শোনার দরকারও নেই।
শোনা বা উপলব্ধি করার যে মন
তা অনেক আগেই আগুন জালিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
অগনিত লাশের ভীরে ভয়ার্ত মন
শুধুই বেঁচে থাকার আশায় বেঁচেছে।
স্বপ্ন দেখেছে দু’মুঠো খাবারের।
আশায় থেকেছে একটু ঘুমোনোর।
রক্ত পিপাসু হায়নার দল দাপিয়ে বেড়িয়েছে
রাজপথ, ইমারত, যত নির্ঝঞ্ঝাট এলাকা।
আহত মন দুয়ারে দুয়ারে জানিয়েছে শান্তির আবেদন।
পায়ে চলার, হাতে কড়া নাড়ার শক্তি ছিলোনা।
কাপুরুষ! চিরটাকাল পালিয়েই বেড়িয়েছি।
তোমরা যারা যোদ্ধা; তোমাদের প্রনাম করি;
কৃতজ্ঞতা অপরিসীম। কিন্ত,
যে রাবন সংহার করেছ; তাই যদি তোমরাই হয়ে ওঠো,
তাহলে আর আশার বাকী থাকলো কি?
দুর্জন সর্বদাই পিছনে দরজা দিয়ে ঢুকে সামনে থাকতে চায়।
তারপর মিলেমিশে সব একাকার।
বিবেক ছাড়া তখন আর এই চক্ষু, কর্ন, বুদ্ধি
কোন কাজেই লাগেনা।
তাইতো ওদের মুল লক্ষ্য আজ বিবেক।
চিন্তা করতে যে শক্তি খরচ হয়
তাও আজ আমাদের নিঃশেষ প্রায়।
শুধু এইটুকু জানি,
জন্মগ্রহণে রক্তপাত লাগে;
আর মৃত্যু? সে রক্তপাত ছাড়া নিঃশব্দেও হয়।

Wednesday, July 15, 2015

রাজন

সেই বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে রাজন পর্যন্ত
কি হয় তোমাদের সেই হত অথবা হত্যাকারী?
হয়তো কারো সন্তান. ভাই, বাবা, বন্ধু, স্বজন!
কেন হয় এসব বলতে পারো?
তোমার সন্তান কেন আর একজনের সন্তানকে খুন করে?
তোমার ভাই কেন আর একজনের ভাইকে খুন করে?
তোমার বাবা, বন্ধু বা স্বজন কেন মানুষ খুন করে?
আইন কেন হাতে তুলে নিতে হয় মানুষকে?
সুবিচার সুবিচার পেতে পেতে আরো একটি জীবন অতিবাহিত হয়ে যায়।
হয়তো জীবনেও ধরা দেয় না সেই শ্বেত কপোত।
লাল রং তোমাদের এত প্রিয়?
হতের মত হত্যাকারীর জন্যও তোমাদের প্রান কাঁদে।
বুক ভরা মায়া তোমাদের,
এত ভালবাসা, এত ধৈর্য পৃথিবীতে আর কোন জাতির আছে?
কত জ্বালাময়ী অথবা মর্মস্পর্শী লেখা
কত আকুতি কত বিলাপ!
ভুলে যেতেও সময় লাগে না মোটেও।
সুধুমাত্র লাইক অথবা ভিউ পাওয়ার জন্য হলে ঠিক আছে।
যদি সত্যি চাও তবে আইনের শাসনের, সুবিচারের জন্য এখনি সোচ্চার হও।
হ্যা তোমাকে বলছি যে দিন আনো দিন খাও, সেই থেকে

মসনদের সর্বোচ্চ শিখর পর্যন্ত সকলকে।

Saturday, July 11, 2015

গ্লানি

সময়ের প্রতিটি সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
আমি চলেছি সেই চিরচেনা অচিন গন্তব্যে।
মাঝেমাঝে মনে হয়
ভুল সময় নয়তো ভুল স্থানে জন্মেছি
আবার মনে হয় এখানে এই সময়ে
কারো না কারো তো জন্মাতেই হত,
আমি নয় কেন?
অদৃষ্ট লেখেন যেই বিধাতা
ধিক্কার জানাই তাকে
সাথে সাথে ধন্যবাদ জানাই
অনুভব এবং উপলব্ধির যে মাত্রার সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছেন
তার সঠিক পরিচয় এমনকরে হয়ত তার কাছেও অচেনা।

অসুস্থতা

চতুর্দিকে যাত্রায় যেখনেই অবস্থান আমার
চোখ এবং মনে শুধুই অসংগতির উপস্থিতি।
আমি কি অসুস্থ?
নাকি পরিপার্শের অবস্থার পরিনতিতে আক্রান্ত?
নাকি জেনেটিক ত্রুটি?
ফুলের দিকে তাকালে মনে হয়
আর কতটা সময় বাকী এই সৌন্দর্যের?
স্ফীত বক্ষ আর পেলব শরীর আমাকে মনে করায়
বার্ধক্যের জরাজীর্ন কুঞ্চিত ত্বক!
দিন হলে রাতের কথা মনে পরে আর রাত হলে অন্ধকারের।
মানুষের হাসি, আনন্দ আমাকে শংকিত করে।
চারপাশের আনন্দ, উপভোগ্য
কোন কিছুই উপভোগ করতে পারি না আমি
ভবিষৎতের অলীক পরিনতির ভয়ে।
ভয় আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত
দানবের চোখে চোখ পড়ার ভয়;
অপমানের ভয়, লাঞ্চনার ভয়, নিয়তির ভয়।
আমি কি ধার্মিক?

আমাকে শুধুই তাড়িয়ে বেড়ায়
কতগুলো লোভী নির্লজ্জ মুখ।
যাদের বিশ্বাস আর কর্মের মাঝে বিস্তর ফারাক।
তারাই ক্ষমতাবান।
তারা এক এবং সংগঠিত।
আরসিসি ঢালাই দিয়ে তাদের সম্মান বাঁধানো।
কথা বা অপমান তো দুর থাক;
দুই একটা সুপার টর্নেডো কিংবা সুনামী
তার ভীত নাড়াতে অক্ষম।
যারা সর্বদাই যে কোন মানুষকে রাখে রাস্তার বাইরে।
তারপর তারা সেই রাস্তা ভাঙ্গে আবার গড়ে নিজের ইচ্ছেমত।
চালায় বিবেকহীনতার নির্মম যান।
তার পানির মাছকে ডাঙ্গা তুলে মারে আর
ডাঙ্গার জীবকে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরুদ্ধ করে।
বিবেকহীন এই সব অমানুষ আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় সপ্নেও।
আমি শুধুই পালিয়ে বেড়াই তাদের কাছথেকে।
কিন্ত পালানো কি সম্ভব?
তারা আমার সপ্নও বিষাক্ত করেছে

আমি আজ তাই ভীষন রকমের অসুস্থ!

Friday, May 15, 2015

জন্মেছি এই দেশে




যখন বুঝতে শিখেছি
তখনই দেখেছি স্বাধীন এদেশ
আশে পাশে যাকেই দেখেছি সবাই এদেশের নাগরিক
ধর্ম অথবা পরিবার যাকে ছোট বলেছে তাকেই ছোট বলে জেনেছি
যাকে বড় বলেছে তাকেই বড় বলে জেনেছি।
আরো কিছুদিন পরে দেখলাম
যার অর্থ বেশী তিনিই ক্ষমতাবান, তিনিই বড়।
আরো পরে দেখলাম।
যার যত ভোট, তিনি তত বড় মানুষ।
শিখলাম এ্টাই গনতন্ত্র।

জানলাম যুদ্ধের কথা, সাহসের কথা, চেতনার কথা, আত্মত্যাগের কথা।
রাজনীতির কথা।


সবই তো মানুষের জন্য!
সত্যি কি তাই?

মানুষ মানুষের জন্য যুদ্ধ করে মানুষ হত্যা করে!
মানুষ চেতনার জন্য মানুষ হত্যা করে!
মানুষ ধর্মের জন্য মানুষ হত্যা করে!
মানুষ রাজনীতির জন্য মানুষ হত্যা করে!

মানুষ যদি মরেই যায় তাহলে কি দরকার এসবের?

দেখলাম..
চলছে তিলে তিলে হত্যার মহাযজ্ঞ
খাদ্যে বিষ, অস্ত্রধারীরা সক্রিয়,
শ্রমিকের রক্তে বাড়ছে বিদেশী ব্যাংকের তহবিল
যে শিক্ষার কোন দাম নেই
সেই শিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের জীবনী শক্তির অবসান
চিকিৎসার ভেজাল দাওয়াই, চিকিৎসকের কসাই আচরন
জীবনদায়ী পরিবেশের বস্ত্রহরন, জীবন হরন
যেন পৃথিবীকে অবসবাসযোগ্য করার প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিনিয়ত।


সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, জনগন রাজস্বদিয়ে যাদের পালন করে
তারাই এটুলির মত রক্ত চুষছে প্রতিনিয়ত জনগনের
এ যেন ইচ্ছাকৃত দুঃখ বিলাশ আমাদের...

আইন এক একজনের জন্য এক এক রকম
সুবিধা এক এক জনের জন্য এক এক রকম
সম্মান এক এক জনের জন্য এক এক রকম
সবই অর্থের জোরে অথবা ক্ষমতার জোরে ঠিক হয়
অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতা মানবিক মুল্যবোধের মুল্য সেখানে নেই বললেই চলে।

তবে কি স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করার সময় এসেছে? কিংবা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে?
নাকি নাকি পুনর্বার যুদ্ধের সময় এসেছে?
মানুষ তো অনেকসময় ভুল প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে।
অথবা অমানুষরা মুক্তির ফায়দা লোটে।
হয়ত অমানুষরা এখন সম্মোহিত করে রেখেছে সাধারনকে।
আমি এমন পোড়া কপাল, সম্মোহিত হওয়ার ক্ষমতাও আমার নেই।
আমাকে অসভ্য, অকৃতজ্ঞ, অসামাজিক বা পাগল যাই বলা হোক
আমার কিছুই করার নেই...
আমাকে বলতেই হবে, যতই তিরস্কৃত হই।
কেউ আমার সাথে থাকুক বা না থাকুক।
আমাকে ভালবাসুক বা না বাসুক।

জন্মেছি এই দেশে।

সাম্য (?) বাদ

গাহ সাম্যের গান?
অলীক স্বপ্ন দেখছি বসিয়া মুখেতে লইয়া পান!
সরকার আর জনতার মাঝে ফারাকতো বিস্তর;
সরকারী জীব কুলীণ শ্রেনীর, জনতা নীচুস্তর।
আইন কানুনের জটিল হিসাবে, জনতারা বঞ্চিত
যতটুকু আছে, সেটুকু পেতেও, টাকা লাগে অগনিত
দেবার বেলায় জনগন বেশী, তাহারাই কম দেবে,
আইনের মার প্যাঁচেই তাহার অধিক সুযোগ নেবে
সুযোগ, সুবিধা, জামাইয়ের কোটা সবই তাহাদের তরে
আয়, দান, সেবা সবার উপরে হুমড়ি খাইয়া পরে।
মন্ত্রী আবার তাহাদের তরে, ছোটান কথার ফুল্কি
যে কাজ তাদের, সেটাই হবে স্পিড মানির ভেল্কি
সদাই থাকেন অখুশী সকলে, খুশী করিবার তরে
জনতার হয় পকেট খালি, তাদের পকেট ভরে
স্পিড মানি, ঘুষ, উপহার, দৈনিক সব আছে
পে স্কেল, টাইম স্কেলও বছর ঘুরলে পাছে   
সরকারী সব অস্ত্রধারীরা, রক্ষকের ই বেশে
মারবে, কাঁটবে ভয় দেখাবে লুটবে অবশেষে।
চাকুরীর শেষে, দাড়াইলে এসে, জনগনের কাতারে
এজি অফিসের মাংসাশী কাক, কিছু খুটে খাবে তারে
কিছু খাবে তার, ডাক্তার বাবু, কিছু খাবে, প্রশাসন
বাকিসব খাবে সিস্টেম নামে প্রচলিত কুশাসন
সবাই আসিবে একটি সময়ে, একই কাতারের মাঝে
ভুলে যায় সবে, ক্ষমতা দাপট, সকলি হারাবে সাঝে
এদেশের প্রতি পরতে পরতে সাম্যের অনটন
প্রতিটি মানুষ সহে প্রতিদিন, সইবে কি আজীবন?

কবি নজরুল, করিয়াছে ভুল? গাহি সাম্যের গান?
তাহাকে ভুলিয়া, রচিছ তোমরা অসাম্যের সোপান!

Tuesday, April 28, 2015

গোলমাল

যুগের সাথে তাল মেলাতে যখন যেমন তাই
সাথে আছে প্রয়োজনের তাগিদ জেন ভাই
প্রয়োজনের গ্যাড়া কলে হরেক রকম প্যরা
নিশ্চয়তা নাই, যে যেরকম করছে মাথা ন্যাড়া
লাখো প্রানের আত্মদানে এদেশ স্বাধীন আজ
পিআর, ভিসা যাহোক আজি দেশ ছাড়াটাই কাজ
ছালাম রফিক বরকত আরো ভাষাসেনা কতো!
ইংরেজীর দখলে সকল স্কুল কলেজ যত।
দেশের নেতার চেয়ে আজি বিদেশীরাই দামি
কাজের চেয়ে ভিক্ষা প্রিয়, বাকপটুরাই নামী।
পড়ার চেয়ে পলিটিক্স এ আমদানীটা ভালো;
পথটা যা হোক সাদা কালো, টাকায় সবই আলো
মন্দ ভালোয় কি এসে যায়? সংজ্ঞা বদলে গেছে
“ভালো মানেই অক্ষম লোক, যে রয় সবার পিছে”

সোনার দেশের নষ্ট ধারা, আমরা সবাই দায়ী
বিবেক ভ্রষ্ট, চিন্তা নষ্ট, নষ্ট জীবন তাই
এ দেয় দোষটা ওদের, আবার ওরা এদের দেয়
জনগন আর রাজনীতিবিদ মুখের শান্তি নেয়
আসছে জীবন, যাচ্ছে জীবন, যাচ্ছি রসাতলে
যাচ্ছে সময় মহাকালের, ধুকছি পলে পলে
শুদ্ধ চিন্তা খুঁজতে হবে, নিজের প্রয়োজনে
বুঝতে হবে মন্দ ভাল, বিবেকটারে শেণে

একটুখানি

একটুখানি কথাই ছোটায় কথার’ই ফুলঝুড়ি;
একটুখানি ভালবাসায় সুখের সপ্নপুরী।
একটুখানি চলতে শেখাই, অনেকটা পথ চলা
একটুখানি হাসি, করে অনেক খেলামেলা।
একটুখানি সৎ থাকাতেই অনেক ভালোর শুরু,
একটুখানি সত্য বলাই, সকল কথার গুরু।
একটুখানি গুনের তারিফ? গুণী ঘরে ঘরে।
একটুখানি মন্দ ত্যাগে, সুদিন চরাচরে।  
একটুখানি ইতিবাচক, সকল ভালোর তরে,

ভালোয় ভালোয় আনন্দধাম জগৎবিশ্ব ভরে।

গরু

হাসলেই সে ভালো মানুষ, রাগলে ভালো না
একা থাকলে অহংকারী, মিশলে, খারাপ না।
বক্তা সেযে অনেক ভালো হেসেই কথা বলেন
নির্বাচনে হওয়ার পরেও, সবার সাথে চলেন
কাজ না করুন দেশের তরে, আছে মুখে হাসি
তার হাসিই সবার চেয়ে আমরা ভালোবাসি।
হাসি মুখেই মিথ্যে বলেন, লাগে কিযে ভালো
সপ্ন দেখান লক্ষ টাকার, জ্বালান আশার আলো।

হন যদি সে আমলা, বেজায় ভালো ছাত্র তিনি
হোক সে গরীব বাপের ছেলে, এখন সেই ধনী
টাকা খেলে কাজটি করেন আছে সুনাম তার
জনসেবা এমনতরো ক’জন করেন আর?
দেশ বিদেশে ঘোরেন সদাই অনেক জ্ঞানী লোক
কে দেখে? পান টাকা কোথায়? কার সে দুষ্ট চোখ?

পড়লে ফাঁদে এসব লোকই, আমরা কষ্ট পাই
কষ্টে থাকি, দুঃখে থাকি, এদের শান্তি চাই
বুক পেতে দেই, এদের তরে, মোদের জীবন বাজী
সুখে থাকুক এরা, মোরা দুঃখ পেতেও রাজী
অতি সুখে থাকলে মোদের গা ম্যাজম্যাজ করে
ভুতের জন্য মন আনচান, কখন কিলটি পড়ে   
বুদ্ধি দিয়ে বোঝার চেয়ে দেখে শুনেই খুশী
ভাত খেয়ে আর লাভ কি? মোদের খাওয়াই উচিত ভুষি!

Saturday, April 25, 2015

পরজীবি

আপনি কি কবি, কবিতা লেখেন?
-জি না!
আপনি কি গান করেন অথবা গানের শিক্ষক?
-জি না!
গল্প, উপন্যাস বা প্রবন্ধ লেখেন নিশ্চই?
-জি না।
ও তাহলে মনে হয় নৃত্য শিল্পী..
-জি না।
অভিনয়! নির্দেশনা, আলোক প্রক্ষেপন করেন?
-না।
ছবি আকেন?
শিল্প সাহিত্যের কোন মাধমে আপনার অবদান আছে?
অথবা শিল্প সংস্কৃতি উত্তরনে বা বিকাশে কোন বিশেষ ভুমিকা?
-সরাসরি ওরকম কিছুই নেই, তবে আমি সবকিছুর সাথেই আছি।
আমি সংস্কৃতি সেবী, শিল্প প্রেমী, সাংস্কৃতিক কর্মী!


আপনি সুন্দর করে সুবিধাবাদী এবং তৈলাক্ত বক্তব্য দেন।
প্রতিটি অনুষ্ঠানেই আপনি মঞ্চের মধ্যমনি হয়ে বসে থাকেন।
একজন গুনী শিল্পীরও আপনার কাছে নত হতে হয়।
সকল পদক এবং সম্বর্ধনা প্রাপ্তির তালিকায় আপনি থাকেন আগে।
সরকারী বেসরকারী অনুদান কোনটাই বাদ দেন না।
যখন শিল্পীরা গান বা আবৃত্তি করেন,
ততক্ষনই আপনি পাশের লোকের সাথে কথা বলেন।
সবসময়েই নারী বেস্টিত থাকেন, এবং নির্লজ্জ ভাবে
তাদের মাথায়, শরীরে হাত বোলান।
আপনার চোখ চকচক করে ওঠে রক্ত-মাংশ লোভী হায়নার মত,
কিন্ত চেহারায় এক সৌম্য রুপ।
আপনাকে অভিনেতা বলা যায়।
ক্ষমতাবানদের অন্যায়ের প্রতিবাদ দুরে থাক, আপনি তাদের সাথে থেকেছেন।
শিল্পীদের দালালী করে পকেট ভারী করেছেন, অথচ শিল্পিরা থেকেছে বঞ্চিত।
শিল্পীদের পুজি করে, নেতা হয়েছেন, শিল্পীরা সবসময় রয়েছে লক্ষ্যহীণ।
আপনি, আপনারা, শিল্পীদের ভুল বুঝিয়েছেন, তাদের সরলতার সুযোগ নিয়েছেন।
মাঝথেকে আপনাদের ভবিষ্যৎ হয়েছে সুরক্ষিত।
শিল্পীরা এখনো বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে, ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ করে..
আর মরার সময় ভিক্ষা করে।

আর আপনি, আপনারা..
নিশ্চিত জীবনের আনন্দে, সম্মানের গর্বে সমুজ্জল ব্যাক্তিত্ব নিয়ে
এখোনো মধ্যমনি শিল্প সংস্কৃতির, সমাজের।

আপনারা সফল, আপনারা সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব।

Sunday, April 19, 2015

গেম

এক ঘটনা চাপা দিতে অন্য ঘটনাকে
সাজায় আবার, প্রচার করে নতুন করে তাকে।
মিডিয়াও বেজায় খুশী বাড়ল খানিক কাজ,
ব্রেকিং নিউজ কাটতি বেজায় আনন্দ সাজসাজ।
হত্যা কিংবা, লাঞ্চনা বা সেই ঘটনার ভীড়
পুলিশ সদাই পাশেই থাকে, সেই ঘটনাটির,
শুশীল কুশীল দুটো দলই একে অপরের
দোষ দেয়, আর নিজে বাঁচার চেষ্টা সকলের
দোষী আর নির্দোষীদের হয় একই হয়রানি
ফিফটি ফোরে পকেট বাড়ে, বাড়ে ঘোলা পানি
পর সমাচার, কোর্টের দ্বার আর রিমান্ড রিমান্ড খেলা
পকেট বাড়ে, বেড়েই চলে অপেক্ষারই পালা।
নতুন আরএক ঘটনারই ছকটি তলে তলে
চলছে গুটি, এলেই সবাই আগেরটারে ভোলে
আবার সবাই আগের খেলায় ব্যাস্ত আগের মত    
যে হত বা লাঞ্চিত, তার পোড়া কপাল যত।

Monday, March 16, 2015

------- কোটা



মুক্তি যুদ্ধে যারা যারা যুদ্ধ করেছে
তাদেরকে সব আমজনগনসাপোর্ট করেছে
যারা ছিলো শান্তিবাহিনী, আর রাজাকার
তারাই শুধু দেশের শত্রু পাকিসাপোর্টার
আজকে শুধু তালিকা হয় মু্ক্তিযোদ্ধা যারা
রাজাকার আর আমজনতা এক কাতারে তারা?

করা উচিত তালিকাটা শুধু রাজাকারের
যেন না পায় কোন সুযোগ স্বাধীন বাংদেশের
বাকী সবাই এক চেতনার সবার একই ধারা
কেন শুধু সনদ দিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করা?
দল মত আর ধনী গরীব, আমলা কামলা যা’ই
হোকনা সবার সবই সমান যে যেটুকুই পাই -
সনদ বিহীন সবার এদেশ সবাই সমান পাবে
কোটা-টোটা যাকনা চুলোয় সবাই শান্তি পাবে।

Wednesday, March 11, 2015

লাশ

সাদা কাপড় এসে পড়েছে
গরম পানি, বড়ই পাতা, সাবান, ব্লেড, আগর বাতি, কর্পুর সব এসেছে
মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন সবাই প্রস্তত।

গ্রামের প্রায় লোকজন ভীড় করেছে চারপাশে, বিভিন্ন মানুষের মুখে বিভিন্ন কথা-
- আহা বড় ভাললোক ছিলো!
- হ, দেখলে এমন ভাবে কথা কইতো যেন কত দিনের আপন
- আহারে! মরনের সময় কেউ কাছে ছিলো না
- না না পাশের বাড়ির আমিনা ছিলো, মুখে পানি দিছে
- মাইয়া তো একটা বিদেশ থাকে হে আইবো না?
- মনে হয় না, দেশে যে তিন জন আছে তারা পথে।
- মাইয়া পোলা সবাইরে ভাল জায়গায় পড়াইছে, কাউরে কষ্ট করতে দেয় নাই
- এই গ্রামের বেশিরভাগ জমিই তার, গ্রামের প্রায় সব গরীব লোকই তার বাড়িতে, তার ক্ষেতে কাজ করে।
- তোমার মনে আছে, তার বাপে ছিলো এই গ্রামের প্রাইমারি ষ্কুলের মাস্টার
- হ হ দেকছি না, ঐ যে দালানাডা, ওই খানেই তো একটা দোচালা টিনের ঘর ছিলো। আর জমি বলতে ছিলো পুবকান্দার দেড় একর ধানি জমি।
- পোলাডা আছিল পড়াশুনায় ভালো, সব পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট।
- আমার আমার এহোনো মনে আছে যে দিন মেট্রিক পাস দিল, মাস্টার সবাইরে মিষ্টি খাওূয়াইছিলো। কিজানি কয় “হায়ার ফাষ্ট ডিভিশন”
- ভা্র্সিটিতে পড়াইতে পড়াইতে দেড়বিঘা শেষ
- হ হুনছি চাকরী পাইতেও টাকা দেওন লাগছে।
- মানুষটা বড় ভাল ছিল। আগে ছালাম দেওন যাইতো না। সবাইরে আগে ছালাম দিতো।
পাশ থেকে ওপাড়ার গোয়ার যুবক নিচু স্বরে বলে ওঠে-

আছিলো তো তৃতীয় শ্রেনীর সরকারী কর্মচারী এত টাকা পাইলো কই। হুনছি ঢাকায়ও ২ডা বাড়ি আছে।

অপ্রস্তত হয়ে নড়ে চড়ে বসে মুরুব্বিরা।“আর একটা বরফ নিয়া আয় আগেরটা তো শেষ, খেয়াল করবি না?

যুবকটি ছূটে চলেযায় আর একটি বরফ আনতে। অল্প সময়ের মধ্যে নিয়েও আসে আর একটি।

চলছে কোরআন শরীফ পাঠ। আগরবাতির সুগন্ধ উঠোনের বাতাসে।
ঝকঝকে রোদ, ফাগুনের বাতাস বইছে ধীরে।
বাড়ির ভেতর থেকে কান্নার শব্দ গুনগুন করে বাঁজছে।
আশেপাশে ভীড় করেআছে গুনমুগ্ধ, কৃতজ্ঞ মানুষ, সবার মুখে বেদনা ছায়া।
উঠোনের মাঝে, মসজিদের খাটটির উপরে লাশ অপেক্ষমান।

যুবকটি মায়া হয় মৃত লোকটির জন্য, সে ভাবে..
“হয়তো পরজনম আছে, থাকলে লোকটির পুরো পরজনমটাই বরবাদ।
কৈফিয়ত এবং শাস্তি অফুরান জমা হয়ে আছে।
টাকা আছে অনেক, কিন্ত ওপারে তো ঘুষও চলেনা।

Thursday, February 19, 2015

নষ্ট

একটুখানি আগুন ভালো হাড় কাপানো শীতে
একটু খানি আগুন লাগে রান্না করে নিতে
একটুখানি আগুন ভালো ফাগুন রাঙ্গা দিনে
সভ্যতা কি আসতে পারে একটু আগুন বিনে?
সেই আগুনই একটুখানি নিলো অনেক প্রাণ
ভালো কিছু  খারাপ করতে বাঙ্গাল আগুয়ান।

Saturday, February 7, 2015

জাগো বাংলাদেশ

দেশের কি আর সাধ্য বলো রুখবে আগুন রুখবে ত্রাস
দেশ কি জাগে? জনতারা ঘুমায় যদি বারো মাস|
ঘরে বসেই যদি সবাই দেশকে বলি জেগে ওঠ
দেশকি আমার, খাটছে বেগার? বইছে আমার দোষের মুট?
পুড়ছে কি দেশ? পুড়ছে মানুষ, কাল হয়তো তোরই দিন;
ওঠ জেগে ওঠ আজ বাঙ্গালী অনেক শোধার আছে ঋন
যুদ্ধে  নিয়ে সহায়তা, আজ খোটা খাস সিনেমায়
নিজে নিজেই দেশটাকে গড়, লজ্জা শরম যদি হয়
নিজের দেশেই চালাস যদি এমনতর অনিয়ম
স্বাধীনতা আজ হবেরে নয় মাসেরই মতিভ্রম।।

Monday, February 2, 2015

মহাশশ্মান

স্বাধীনতার পরে প্রায় 45 বছর হয়ে গেল
মুক্তিযোদ্ধারা সবাই প্রবীন, মৃত্যুর অপেক্ষায়
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী অত্যাচারের কথা শুনেছি অনেক
বাস্তবে দেখিনি, নাটকে, সিনেমায় দেখেছি কিছু!

চেতনা সমৃদ্ধ যুবকদের দেখেছি ষ্টাইলিষ্ট পাঞ্জাবি চাঁদর পড়ে প্রভাতফেরী করতে
দেখেছি শহীদ মিনারে গলায় ঝড় তুলে কাঁপিয়ে দিতে সমাবেশ
উস্কখুষ্ক চুলদাড়ি দামি হেয়ার ড্রেসারে গিয়ে আরো ষ্টাইলিষ্ট ভাবে উস্কখুষ্ক করে
চেতনাবাদী নারীদের বগলে তিয়ে শরীরের ওম পোয়াতে দেখেছি।
তাদের সকলের চোখ চকচক করছে মাংশের লোভে।

বেয়াড়া সন্তানগুলো
যাদের কোন ক্রমেই লাইনে আনা যাচ্ছিলনা
শেষমেশ মাদ্রাসা;
তাদের ও দেখেছি
পাঞ্জাবি আর গোলটুপি পড়ে এসে সেগুলো খুলে
টিসার্ট পরে সিনেমা হলে পর্ন ছবি দেখেতে
কমদামী সস্তা হোটেলে লাইন দিয়ে উষ্ণ মাংশের স্বাদ নিতে
আর যাদের সে সুযোগও ছিলো না তাদের মধ্যে ও দেখেছি
আরো নির্লজ্জের মত নিজেদের নিজেদেরকে ভোগ করতে দেখেছি।

এ পর্যন্ত সহ্য করা যায়।

কিন্ত মুক্তি যুদ্ধকে পুজি করে কিছু ফটকা ব্যবসায়ী
সরাসরি যুদ্ধ করার নিয়ে যাদের সম্পর্কে তর্ক আছে  
এবং সেসময়ে সকল কুকর্ম করা নিয়ে
যাদের বিষয়ে কোন সংশয়ই নেই
আজ তাদের কার্জকলাপই অসহ্য।

তাদের থলি ভরতে ব্যস্ত আজ সকল রাজ কর্মচারী
শশস্ত্র বাহিনী শুধু তাদেরই নিরাপত্তা দেয়
নিরুপায় জনগন তাদের ভোট দেয়
হয়তো দেয় না; কিন্ত তাতে কিছু এসযায় না
তাদের গড়া প্রক্রিয়ায় আজ ফেসে গেছে জনগন।

স্বাধীন দেশ
অথচ এদেশের শশস্ত্র বাহিনী এদেশের জনগন হত্যাকরে
প্রতি পাঁচ বছরে দেশকে মুক্ত করতে হয় নিজেদের কাছ থেকে
এদেশেরে টাকা লুট হয়ে চলেযায় মালয়শিয়া, লন্ডন সহ বিভিন্ন দেশে
যেমন যেত পুর্বপাকিস্তান থেকে পশ্চিমে
প্রতিটি সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠান আজ শোষক।
নেই রাজস্বের যথাযথ প্রতিদান।
মিথ্যাচার, লুটতরাজ, ক্ষমতাবাজি আর নির্ল্জ্জতার মহোৎসব!

অসহায় জনগন শুধু চেয়ে দেখে
স্বাধীনতার 45 বছর পরে দেশটা আজ একটা মহাশশ্মান
জ্বলছে অর্থনীতি জ্বলছে জীবন্ত মানুষ
পিতার মাতার বুকে সন্তানের দগ্ধ লাশ!
সংসারের উপার্জনের পথ আজ পেট্রলের আগুনে জলছে


লেলিয়ে দেয়া হয়েছে
চেতনা সমৃদ্ধ যুবকদের আর বেয়াড়া সন্তানগুলোকে
একে অপরের বিরুদ্ধে।
যাদের হয়তো কদাচিৎ দেখা হত
ইদের নামাজ পড়ার সময়ে, মিলাদে অথবা জানাযায়।


এতকিছুর পরে এদেশের জনগন
তোমাদের কষ্টে কষ্ট পায়
তোমাদের একাকিত্বে সংগ দেয়
তোমাদের অপরাধকে তারা ভুল হিসেবে ক্ষমা করে দেয়

আর তোমরা তাদের এই ভালবাসাকে নির্বুদ্ধিতা মনে করো
তোমরা বারবার অপরাধ করো জনগন বার বার ক্ষমা করে।
কতদিন?


বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, অসীম অথবা মৃত্যুর মধ্যে কি মুল্য আছে এসবের?
যেখানে একটি উল্কাপিন্ড সমাপ্তি টানতে পারে হাজার বছরের সভ্যতার।
মানুষ হিসেবে পরিতৃপ্ত হতে হলে কি এত মানুষকে বঞ্চিত করতে হয়?
এত মায়ের বুক খালি করতে হয়?
এত সন্তানকে পিতৃহারা করতে হয়?
একটা স্বাধীন দেশকে মহাশশ্মান বানাতে হয়?
কি করে মুক্তি পাবে তোমরা?

স্বাধীন দেশে তো মুক্তিযুদ্ধও হয় না।

Tuesday, January 20, 2015

দানবাধিকার কর্মী

সন্ত্রাসীদের ক্রস ফায়ারেই উত্তেজিত যারা
পুড়ছে মানুষ পুড়ছে শিশু কোথায় এখন তারা।
শুধু শুধুই অনেক পেলে এবার কিছু দাও
সকলপুজির কিছুটাকে হালাল করে নাও
এসি রুমের নরম গদির আরামটাকে ছাড়ো
মানুষ বাচাঁও, চেষ্টা করো যদি কিছু পারো
ভাবের সাথে নাম নিয়েছ মানবাধিকার কর্মী
মানুষ দেবে শেষ উপাধি “দানবাধিকার কর্মী”।।

১৯.০১.২০১৫

Friday, January 16, 2015

রক্ষক

এইতো চলে যাব,
হয়ত আর বেশী হলে বিশ ত্রিশ বছর।
ভাগ বসাবোনা তোমার দেশে
ওটা তোমারি...
তোমার ফসল ফলিয়ে দেব, রাস্তা বানিয়ে দেব
সব কাজ করে দেব, সেবা যত্ন করবো
জয়গান করব প্রতি নিয়ত
বিনিময়ে অর্থ খাদ্য কিছুই নেব না..

হাত পা যখন আছে ওসব আমি ঠিকই জুগিয়ে নিতে পারবো।

তুমি, তোমরা তো আমার, আমাদের রক্ষক
শুধু যদি তোমাদের হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারি
পৃথিবীতে আর কারো সাধ্য নেই আমাদের হত্যা করার।

17/01/15