তুমি শোন বা না শোন
কিচ্ছু এসে যায়না।
তোমাদের শোনার দরকারও নেই।
শোনা বা উপলব্ধি করার যে মন
তা অনেক আগেই আগুন জালিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
অগনিত লাশের ভীরে ভয়ার্ত মন
শুধুই বেঁচে থাকার আশায় বেঁচেছে।
স্বপ্ন দেখেছে দু’মুঠো খাবারের।
আশায় থেকেছে একটু ঘুমোনোর।
রক্ত পিপাসু হায়নার দল দাপিয়ে বেড়িয়েছে
রাজপথ, ইমারত, যত নির্ঝঞ্ঝাট এলাকা।
আহত মন দুয়ারে দুয়ারে জানিয়েছে শান্তির আবেদন।
পায়ে চলার, হাতে কড়া নাড়ার শক্তি ছিলোনা।
কাপুরুষ! চিরটাকাল পালিয়েই বেড়িয়েছি।
তোমরা যারা যোদ্ধা; তোমাদের প্রনাম করি;
কৃতজ্ঞতা অপরিসীম। কিন্ত,
যে রাবন সংহার করেছ; তাই যদি তোমরাই হয়ে ওঠো,
তাহলে আর আশার বাকী থাকলো কি?
দুর্জন সর্বদাই পিছনে দরজা দিয়ে ঢুকে সামনে থাকতে
চায়।
তারপর মিলেমিশে সব একাকার।
বিবেক ছাড়া তখন আর এই চক্ষু, কর্ন, বুদ্ধি
কোন কাজেই লাগেনা।
তাইতো ওদের মুল লক্ষ্য আজ বিবেক।
চিন্তা করতে যে শক্তি খরচ হয়
তাও আজ আমাদের নিঃশেষ প্রায়।
শুধু এইটুকু জানি,
জন্মগ্রহণে রক্তপাত লাগে;
আর মৃত্যু? সে রক্তপাত ছাড়া নিঃশব্দেও হয়।
আর মৃত্যু? সে রক্তপাত ছাড়া নিঃশব্দেও হয়।
No comments:
Post a Comment