চতুর্দিকে
যাত্রায় যেখনেই অবস্থান আমার
চোখ
এবং মনে শুধুই অসংগতির উপস্থিতি।
আমি
কি অসুস্থ?
নাকি
পরিপার্শের অবস্থার পরিনতিতে আক্রান্ত?
নাকি
জেনেটিক ত্রুটি?
ফুলের
দিকে তাকালে মনে হয়
আর
কতটা সময় বাকী এই সৌন্দর্যের?
স্ফীত
বক্ষ আর পেলব শরীর আমাকে মনে করায়
বার্ধক্যের
জরাজীর্ন কুঞ্চিত ত্বক!
দিন
হলে রাতের কথা মনে পরে আর রাত হলে অন্ধকারের।
মানুষের
হাসি, আনন্দ আমাকে শংকিত করে।
চারপাশের
আনন্দ, উপভোগ্য
কোন
কিছুই উপভোগ করতে পারি না আমি
ভবিষৎতের
অলীক পরিনতির ভয়ে।
ভয়
আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত
দানবের
চোখে চোখ পড়ার ভয়;
অপমানের
ভয়, লাঞ্চনার ভয়, নিয়তির ভয়।
আমি
কি ধার্মিক?
আমাকে
শুধুই তাড়িয়ে বেড়ায়
কতগুলো
লোভী নির্লজ্জ মুখ।
যাদের
বিশ্বাস আর কর্মের মাঝে বিস্তর ফারাক।
তারাই
ক্ষমতাবান।
তারা
এক এবং সংগঠিত।
আরসিসি
ঢালাই দিয়ে তাদের সম্মান বাঁধানো।
কথা
বা অপমান তো দুর থাক;
দুই
একটা সুপার টর্নেডো কিংবা সুনামী
তার
ভীত নাড়াতে অক্ষম।
যারা
সর্বদাই যে কোন মানুষকে রাখে রাস্তার বাইরে।
তারপর
তারা সেই রাস্তা ভাঙ্গে আবার গড়ে নিজের ইচ্ছেমত।
চালায়
বিবেকহীনতার নির্মম যান।
তার
পানির মাছকে ডাঙ্গা তুলে মারে আর
ডাঙ্গার
জীবকে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরুদ্ধ করে।
বিবেকহীন
এই সব অমানুষ আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় সপ্নেও।
আমি
শুধুই পালিয়ে বেড়াই তাদের কাছথেকে।
কিন্ত
পালানো কি সম্ভব?
তারা
আমার সপ্নও বিষাক্ত করেছে
আমি
আজ তাই ভীষন রকমের অসুস্থ!
No comments:
Post a Comment