যখন বুঝতে শিখেছি
তখনই দেখেছি স্বাধীন এদেশ
আশে পাশে যাকেই দেখেছি সবাই এদেশের নাগরিক
ধর্ম অথবা পরিবার যাকে ছোট বলেছে তাকেই ছোট বলে
জেনেছি
যাকে বড় বলেছে তাকেই বড় বলে জেনেছি।
আরো কিছুদিন পরে দেখলাম
যার অর্থ বেশী তিনিই ক্ষমতাবান, তিনিই বড়।
আরো পরে দেখলাম।
যার যত ভোট, তিনি তত বড় মানুষ।
শিখলাম এ্টাই গনতন্ত্র।
জানলাম যুদ্ধের কথা, সাহসের কথা, চেতনার কথা, আত্মত্যাগের
কথা।
রাজনীতির কথা।
সবই তো মানুষের জন্য!
সত্যি কি তাই?
মানুষ মানুষের জন্য যুদ্ধ করে মানুষ হত্যা করে!
মানুষ চেতনার জন্য মানুষ হত্যা করে!
মানুষ ধর্মের জন্য মানুষ হত্যা করে!
মানুষ রাজনীতির জন্য মানুষ হত্যা করে!
মানুষ যদি মরেই যায় তাহলে কি দরকার এসবের?
দেখলাম..
চলছে তিলে তিলে হত্যার মহাযজ্ঞ
খাদ্যে বিষ, অস্ত্রধারীরা সক্রিয়,
শ্রমিকের রক্তে বাড়ছে বিদেশী ব্যাংকের তহবিল
যে শিক্ষার কোন দাম নেই
সেই শিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের জীবনী
শক্তির অবসান
চিকিৎসার ভেজাল দাওয়াই, চিকিৎসকের কসাই আচরন
জীবনদায়ী পরিবেশের বস্ত্রহরন, জীবন হরন
যেন পৃথিবীকে অবসবাসযোগ্য করার প্রতিযোগিতা চলছে
প্রতিনিয়ত।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, জনগন রাজস্বদিয়ে যাদের
পালন করে
তারাই এটুলির মত রক্ত চুষছে প্রতিনিয়ত জনগনের
এ যেন ইচ্ছাকৃত দুঃখ বিলাশ আমাদের...
আইন এক একজনের জন্য এক এক রকম
সুবিধা এক এক জনের জন্য এক এক রকম
সম্মান এক এক জনের জন্য এক এক রকম
সবই অর্থের জোরে অথবা ক্ষমতার জোরে ঠিক হয়
অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতা মানবিক মুল্যবোধের মুল্য সেখানে
নেই বললেই চলে।
তবে কি স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করার সময় এসেছে?
কিংবা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে?
নাকি নাকি পুনর্বার যুদ্ধের সময় এসেছে?
মানুষ তো অনেকসময় ভুল প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করে।
অথবা অমানুষরা মুক্তির ফায়দা লোটে।
হয়ত অমানুষরা এখন সম্মোহিত করে রেখেছে সাধারনকে।
আমি এমন পোড়া কপাল, সম্মোহিত হওয়ার ক্ষমতাও আমার
নেই।
আমাকে অসভ্য, অকৃতজ্ঞ, অসামাজিক বা পাগল যাই বলা
হোক
আমার কিছুই করার নেই...
আমাকে বলতেই হবে, যতই তিরস্কৃত হই।
কেউ আমার সাথে থাকুক বা না থাকুক।
আমাকে ভালবাসুক বা না বাসুক।
জন্মেছি এই দেশে।

No comments:
Post a Comment