Monday, September 1, 2025

লড়াই করে বাঁচতে চাই

বেশীদিন নয়, এই তো সেদিন, বছর তিনেক আগে,
আইনস্টাইন হঠাৎ করিয়া রাতের প্রথম ভাগে,
আপেক্ষিকতা অংক কষিয়া, করিলেন সমাধান,
ভর ও শক্তি দেখা দিলো শেষে দুই নামে একই প্রাণ।

রাত কাটে নাকো, সময় থামিয়া স্থির হয়ে থাকে তার,
সকাল হইবে, সবাই জানিবে, রাত বাঁকী কত আর?
হইচই হবে, উৎসব হবে, দেশে হবে সমৃদ্ধি,
এই সমাধান দেশে এনেদেবে জ্যামিতিক প্রবৃদ্ধি।

স্বল্প খরচে অসীম শক্তি হাতের মুঠোয় রবে,
বছর ঘুরতে বিশ্বে স্বদেশ এক নম্বর হবে।
অবশেষে রাত ফিকে হয়ে আসে, বাজে আজানের ধ্বনি,
বাড়ির পাশের মোরগ বাবাজি ডেকে ওঠে তক্ষনি।

মুসুল্লিগণ ফজর আদায়ে মসজিদ পানে ছোটে।
কপাট খুলিয়া আইনস্টাইন রাস্তায় আসিয়া জোটে।
কারে কই? করে কই? ভেবে ভেবে খুঁজিনা বেড়ান তিনি
অদুরে তখন পাগলীর চুলে পাগল দিতেছে বিনি।

সে তখন ভাবে, সবাই মগ্ন ইবাদাত চিন্তাতে
বলিলে এসব পাগল ভাবিবে সব মাটি হবে প্রাতে।
সারাদিন ধরে বলার মানুষ জুটছিলোনা একজনও
কবি, শিক্ষক, পেশাজীবী কারো আগ্রহ নেই কোন।
 
দেখিলো সবাই পেরেশান আছে নিজ নিজ টেনশনে
কারো কথা কেহ শোনেনা, সবাই বাঁশের গিট্টু গোনে।
কয়টা ঢুকিলো নিজের পেছনে কটা দেনা রহিয়াছে
কয়টা ঠেকাতে খরচা ক’টাকা? জমা কত জেবে আছে?

কাহারে কহিবে, কারে বুঝাইবে ভাবিয়া পায়না কুল
এত সময়ের চেষ্টা কি তবে হয়ে যাবে সব ভূল?
এই সূত্রের প্রমানের তরে অর্থের প্রয়োজন 
কোথাহতে সেই খরচার টাকা করা যাবে আয়োজন?

সরকার আছে, টাকা তার কাছে অগনিত জমা রয়,
তাদের বোঝালে দেশের স্বার্থ বুঝিবে সে নিশ্চয়।
সরকারী সব অফিসে অফিসে ধর্না শুরুযে হলো
তাহাদের সব ম‍্যানেজে বছর পাঁচেক চলিয়া গেল।

নতুন চিন্তা গবেষনা গুলো সেই থেমে আছে কবে!
এইটার রফা হইলে তখন ওগুলোও শুরু হবে।
বহুত চেস্টা তদবীর শেষে রাজি হয় সরকার
বিশেষজ্ঞের এক কমিটির  মতামত দরকার।

আমলা কামলা রাজনীতিবিদ সবমিলে আটজন
তাহাদের নিয়া সচিবালয়েতে কমিটি হল গঠন। 
এইবোর্ড যদি পাশ করে দেয় তবে এর গতি হবে
শিক্ষিত আর জ্ঞানী গুনীরাই এই কমিটিতে রবে।

আইনস্টাইন টেনশনে ঘাম মোছেন রুমাল দিয়ে
সবটুকু ফের সতর্কভাবে পুনরায় দেখে নিয়ে
যখন আসিয়া রুমে বসিলেন মনে হলো কাঠগড়া 
এক আসামীর বিচার করিতে আট বিচারক ভরা।

পরিচয় শেষে আইনস্টাইন যেই করিলেন শুরু,
ওধার হইতে থামাইয়া দিয়া প্রশ্ন ছুড়িনা মারে
পিতার নাম কি? কি করিতো তিনি? জানেন তো নিশ্চয় 
এই তহবিল “লডাইয়ের কোটা”  সাধারণ এটি নয়।

লডাইয়ের কোন ছবি-টবি আছে? কিংবা কোন সনদ?
সেটাই দেখিবে যাচাই করিয়া  আমাদের পর্ষদ।
থাকলে বসেন, না থাকলে কেন সময় নষ্ট করা?
সাধারন যারা তাহাদের তরে আর নাই কিছু ধরা।


হতাশ হইয়া আইনস্টাইন নদী তীরে নির্জনে
পেছনের কথা স্মৃতির রোমন্থনে
দিন-রাত শুধু অংক কষিয়া সময় কাটিয়া গেছে
লড়াই করিলে এই অংকের 

অবশেষে তার উপলব্ধিতে ভূলটা পড়িয়ে ধরা-
আবিস্কারের চাইতে এদেশে জরুরী “লড়াই করা”।


Friday, August 29, 2025

নির্বোধের সর্গ



বল তো দেখি, সত্যি করে—
শান্তিতে কি আছিস?
নিজের গড়া জাহান্নামে
স্বর্গের আশায় বাঁচিস?
পরের তরে গর্ত খুঁড়ে
করলিরে সব মাটি;
তুই, আমি আর আমরা মিলে
সেই পথেই হাঁটি।
লোভে পড়ে পায়েশ ভেবে
মলে দিলি চাটা;
আরাম করে বসলি যেথায়
বাঁশটি ছিল ফাটা।
ফাটাবাঁশের ঝক্কি অনেক,
যায় না নড়াচড়া;
ক’দিন পরে বুঝবি, কারে
বলে জ্যান্ত মরা!

Tuesday, August 5, 2025

মুক্তি নামের অসুখ - মুক্তি প্রীতি




মুক্তি মানে অন্ধকারে
আশার আলোর রেখা।
মুক্তি মানে স্বাধীনভাবে,
যা ইচ্ছে তাই লেখা।


মুক্তি মানে মনের কথা,
নির্ভয়ে সব বলা;
মুক্তি মানে স্বার্থ 
সবার,

রক্ষা করে চলা।


মুক্তি মানে অন্য সবাই,
মুক্ত আমার থেকে —
মুক্তি মানে মুক্ত আমি,
অন্য সবার থেকে —


মুক্তি মানে ভালোবাসা;
বয়ে চলা নদী —
মুক্তি মানে পুরো জাতির,
এগিয়ে চলার গতি।


মুক্তি মানে ধানের ক্ষেতে,
উতাল পুবাল হাওয়া —
মুক্তি মানে যুক্তি দিয়ে,
সত্যটাকে পাওয়া।


মুক্তি সকল বৈষম্যের,
ঘটায় অবসান —
মুক্তি হলো ব্যক্তিত্ব,
আর আত্মসম্মান।


মুক্তি হলো মুক্ত চিন্তা —
ভাবনা এবং কাজে।
মুক্তি আছে নিজ ইচ্ছায়,
বাঁচা-মরার মাঝে।


মুক্তি হলো মনের ভেতর,
স্বাধীন স্বাধীন বোধ —
মুক্তি মানে নয়তো শুধু,
গুড়িয়ে দেওয়ার ক্রোধ!


মুক্তি পাগল এই বাঙালি —
পাগল একটা জাতি!
স্বাধীন দেশকে মুক্ত করে,
তারা দিবা-রাত্রি।


একদল এসে দখল করে,
জুলুম-শোষণ চালায় —
বাকিরা সব সময় কাটায়,
যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায়।


ঠিক খেলা নয় — রক্ত-জীবন,
আমজনতার ঝড়ে।
রাস্তাঘাটে, কিংবা তারা,
বাসায় বসেও মরে।


এক দল এসে কয়েক বছর,
থাকবে ধনে-মানে —
দেশটা লুটে ব্যস্ত রবে,
সম্পদ আহরণে।


তার পরে দেশ মুক্ত হবে,
আসবে আর এক দল —
একই খেলার ঘূর্ণিপাকে,
একই ফলাফল।


শেষিতদের ঘুরে-ফিরে,
শোষণ করাই হবে।
মালিক পক্ষ লুটবে আবার —
পরে বিদেশ রবে।


এটা হলো দেশ ডাকাতির,
সুচতুর এক রীতি —
সময়টাকে ভাগে ভাগে,
ব্যবহারের কৃতি।


এটাই চলে সেই দেশে,
যেই দেশের জনগণ —
মুক্তিপ্রীতি রোগে ভুগে,
জীর্ণ যাদের মন।


লড়াই করে বেঁচে থাকা,
লক্ষ তাদের স্থির —
বিফলতার লক্ষ্যে এরাই,
রক্ত দেওয়া বীর!

 

Tuesday, July 29, 2025

ঘুষের রেট!!

 দুষিত মনের লোভ বেড়ে চলে

যত গত হয়  DATE.


ঘুষ নিতে-নিতে শান্তি হারিয়ে

বাড়াবি তোর POCKET?

বুঝবি যেদিন - ততদিনে হায়!

হয়ে যাবে খুব LATE.


Sunday, July 13, 2025

কনভেন্স খোর




আঁধার রাতের শেষে রোজ হয় ভোর
ঘুম ভেঙ্গে মনে পড়ে “কনভেন্স খোর”

যুগে যুগে এই মাল নানা রূপে আসে;
ক্ষমতা ও অর্থের লোভে তারা ভাসে।

নিজেকে নিজেই তিনি, দেন Authority-
মন তার লোভে ভরা Impurity

দু’ছিলিম সুখটান দু’টাকার লোভ
মনেতে জাগায় তার নিদারুন ক্ষোভ।

দুর্নামে ট্যাগ করা তার রাজনীতি
“যোগ্যতা” তার কাছে দুঃসহ ভীতি।

এই বুঝি যায় পদ এই যায় টাকা
এর ওর নাম দিয়ে কনভেন্স হাকা।

আবৃত্তি নাচ-গান নেই তার ঘটে-
তাই আজ “কনভেন্স খোর” তিনি বটে!



Friday, July 11, 2025

পাপের দেশে

মোরা থাকি পাপের দেশে, মোরা পাপী নির্বিশেষে;
তুমি পাপকে করো ঘৃণা-; না না বলতে ওসব মানা।
না না না না না না না - হেথা বলতে ওসব মানা।।

মোরা খুঁজে খুঁজে বিভেদগুলো মাথায় জড়ো করি
মোরা বন্ধুত্ব হত্যা করে, শত্রুতা জয় করি!
মোরা পশুর মতো মানুষ মারি; পশু ভালোবাসি-
মোরা মানবরূপী পিশাচ, মোরা লোভী সর্বনাশী।
হেথা যুক্তি আর প্রশ্ন?!!! - তুলতে ওসব মানা।।

মোরা স্বপ্ন দেখি মিথ্যে জেনেও সেই স্বপ্নেই মরি -
মোরা অমানুষের মানবাধিকার বাস্তবায়ন করি
মোরা জেনে শুনেই নরক বানাই, বেহেশত নাম দিয়ে
আর তার ভেতরে নিজেদেরকে যাই নিজেরাই নিয়ে।
মোরা নির্বোধ এক জাতি?!!! ভাবতে ওসব মানা।।

Sunday, June 15, 2025

দুধের মাছি



দুধের মাছির যোগ্যতা এক,
সময়ে দুধ খাওয়া;
অসময়ে দূরবীনেও
যায় না খুঁজে পাওয়া।
তোমার আশপাশেও এমন
অনেক মাছি আছে;
খাওয়া হলেই, সব ভুলে ফের
লাগবে তোমার পাছে।
বেইমানির এই দৃশ্য এখন
চলছে চারিপাশে;
বানিয়ে এদের, সৃষ্টিকর্তা
অলক্ষেতেই হাসে।