Sunday, February 24, 2019

চোর পুলিশ

মফিজ মিয়া মুরগী পোষেন অনেক মুরগী তার
বাড়ির আশে পাশেই ঘুরে খায় তারা খাবার।
হঠাৎ অনেক মুরগী দেখে পাড়ার শিয়াল গুলো
মুরগী খাওয়ার লক্ষ্যে আশে পাশে জড় হল।
মফিজ দেখেন শিয়াল সদাই করছে মুরগী তাড়া
অগ্যত্যা সে তাগড়া দেখে কুকুর করলো ভাড়া
সময়মত খাওয়া দাওয়া থাকার বাড়িও ভালো
কদিন কুকুর মহানন্দে শিয়ালদের তাড়ালো।
কদিন বাদে কুকুর ব্যাটার মনে হয়ে এমন
কতদিন আর লাগে ভালো  একঘেয়ে জীবন
একই রুটিন একই খাবার ডেইলি একই কাজ
ঘরে বাইরে প্রতিদিনই একই রকম সাজ।

ওদিক বসে শিয়ালরা সব জোট বেধে এক হয়ে
  খাবার রাধে চুড়ি করা তাজা মুরগী দিয়ে।
 দালাল দিয়ে পাঠায় তারা কুকুর ব্যাটার কাছে
টেষ্টপেয়ে তার কুকুর ব্যাটার মন আনচান, পাছে
বন্ধ না হয় এ আমদানি, দেয় শুধু হাঁকডাক
শেয়ালরা সব যে যার মত করছে চিচিংফাঁক

মালিক এলেই ডাকাডাকি, না এলেচুপচাপ
সেই থেকেই চোর পুলিশের হয়েছে সদ্ভাব।

Saturday, February 23, 2019

আলু-মানব



আলু এমন তরকারি ভাই নানান তাহার গুন
সবখানেই তারে লাগে; যেমন লাগে নুন।
অবাধ যাতায়াত যে তাহার আমিষ নিরামিষে
ষ্টার্টার কিংবা ডেজার্টেতেও যায় আপসে মিশে
রাস্তা হোটেল, ঘরবাড়ি আর অফিস কিংবা মেসে
এই আলু নেই? মানবো না তা; আলুই সারা দেশে।

আলুই হল প্রেরনা আজ আলুর জয়গান
কিছু মানুষ এই আলুতেই খুব প্রেরনা পান।
তারা আছেন সবখানেই, যা থাক অভিজ্ঞতা
শিক্ষা যাহোক; যাই সে করুন; নেই কো অলসতা
শিক্ষায় আছেন, সংস্কৃতিতে, আছেন সকল সভায়
একই মানুষ আছেন পক্ষে আবার বিরোধিতায়।
প্রেসে আছেন, বারে আছেন, আছেন রাজনীতিতে,
হোক যাকিছুই আছেন তারা সকল কমিটিতে
সরকারী বা বেসরকারী কিংবা ব্যবসায়
মিটিং হলে সবখানেই তাদের দেখা যায়
একটু আধটু ইতিহাসকে ডুবোতেলে ভেজে
পরিস্থিতি যেমন, তাকে তেমনি ঘসেমেজে
শুদ্ধস্বরে উদরাতে পঞ্চমে স্বর নিয়ে  
একই ঢঙে সকলখানে বক্তৃতা যান দিয়ে
সৃষ্টিশীল বা উদ্ভাবনী নেইতো কিছুই তার
সকল কথায় মিলান শুধু জি স্যার জি স্যার।
হাসুক পিছে যতই লোকে যায়না কিছু এসে
এসব কথা এড়ান তারা, দেন উড়িয়ে হেসে।

খুব নিরীহ মানুষ তারা ভাবলে হবে ভুল
অবস্থানের প্রশ্নে হিসেব করেন চিরে চুল।
জোট বেঁধে একসাথে চলেন, বসেন গভীর রাতে
ধরেন যারে টের পাবে সে পরের দিনের প্রাতে।

কি আর করা দুরেই থাকি এড়িয়ে তাদের চলি 
আড়ালে আবডালে তাদের আলু-মানব বলি।

Saturday, February 2, 2019

দুর্নীতিবাজ

কোন শালা কয় দুর্নীতিবাজ
খাইকি আমি কারো?
আমি বহুত পড়াশুনা করে,
চাকরী দাতার পকেট ভরে,
অনেক এদিক সেদিক করে,
বাবার জমি মায়ের গয়না
সেসব বেঁচে নিয়ে বায়না
খুঁজে পেতে দালাল ধরে
হাম্বল রিক্যোয়েষ্ট করে
সাহস করে টাকা দিয়ে
কোন জামানত না নিয়ে
নিশ্চয়তার ধার না ধেরে
মেন্টাল প্রেশার মাথায় করে
অবশেষে পেলাম চাকরি।
তারো!
কৈফিয়তটা কাকে দেবো?
আমি ধারধারিকি কারো?

তৃতীয় শ্রেনীর চাকরী করে
বাবা বছর বছর ধরে
 বাঁচিয়ে একটু একটু করে
জমি কাঠা দুই।
কিস্তিতে তাও যুগতো হবে
মুল্য চুকান সগৌরবে
সৎ টাকাতে, চুকিয়ে দেনা
দলিল করে হয় যে কেনা
সেই জমিটা রইলো প’ড়ে
বাড়ির টাকা কই?

বিয়ের সময় ছ-সাত ভরি
স্বর্ন যেটুক পেলেন মা
খাঁদ টুকু বাদ পড়লে তাতে
থাকবে কি আর বাকী তা?

তারপরেও;
অসুখ বিসুখ যদি আসে
জমি কি আর থাকবে পাশে
নগদ টাকার প্রয়োজনে
এটুকুই থাক গোপনে।

তাছাড়াও;
একটি মেয়ে; বড় হলে
বিয়ে-থা এর সময় এলে
লাগবে অনেক নগদ কড়ি
গয়নাও তো কয়েক ভড়ি
বিয়ের সময় লাগতে পারে
তাছাড়াও অন্য কিছু
বরের ডিমান্ড থাকতে পারে।

এসব ভেবে চিন্তে মনে
বাপ মা মিলে সঙ্গোপনে
যক্ষের ধন আগলে ছিলেন
জান গেলেও এধন যেন
নষ্ট না হয় স্বপথ নিলেন।
টুকটাক যা অসুখ বিসুখ
যেমন প্রেশার, হার্টের পেইন
কিংবা ডায়াবিটিস এবং
একটু সেকটু মাইগ্রেইন
এমনিতেই যাবে সেরে।
নাহলে ওই ডাক্তার ব্যাটা
এ টেস্ট সে টেস্ট করিয়ে ল্যাঠা
সব টাকাটাই দেবে মেরে।।

এমনি নানান যুক্তি দিয়ে
রোগটা পুশে কষ্ট পেয়ে
হাসিমুখে কাটান দিন।
সেই গয়না-জমি বেঁচে দিয়ে
চোখ টা মুছে হাসি দিয়ে
চোকান পিতা মাতার ঋন।

হয়নি তাতেও,
গ্রামের বাড়ির দাদুর জমি
আদতে নয় বেশী দামী
বাবা ভাগে যেটুক পড়ে
সাহা বাবু হিসেব করে
পিকদানিদে পিকটা ফেলে
বোঝান। তুমি গ্রামের ছেলে
বোঝ সবই। এসব জমির দাম কি মেলে
শতকরা বিশ টাকা পেলে
না না বছরে নয় মাসে;
যদি কিছু টাকা আসে
তবে আমি দেব।
না না এমনি তে নয়
ও ই জমিটাও বন্ধক আমি নেব।


সব বেচেছি এখন আমার
সব কিছুই ফেরত চাই
বোনের বিয়ে, চিকিৎসা
গাড়িবাড়ি ভাবুন যাই!

সুদ আসলটা হিসেব করে
সব কিছুই ফেরত নেব
নিতে নিতে আদত যদি না হয়
তখন ছেড়ে দেব।

দেশপ্রেম আর কর্তব্য
সবই আমার মুখে আছে।
চোখ বুজলে যেসব দেখি
সে কষ্টও বেুকে আছে।

তাই!
আমার আগে আমার দেয়া
টাকার হিসেব চাই।

কারখানা না ধ্বংস করে 
শুধু এক এক জনকে ধরে
কত তুমি লোক দেখাবে?
নও তো তুমি আলাদা জন
হয়তো তুমিও আমার মতন

তুমি নতুন কি শেখাবে?

যে আমাকে চোর করছে
তার কাছে কৈফিয়ত চাও
তার কাছে নাও হিসেব নিকেশ
না হয় বসে মুড়ি খাও।