Friday, July 24, 2015

একটি প্রশ্ন

অসভ্যতার চৌকাঠ পেড়িয়েছি অনেক আগেই।
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সবকিছুর সংস্থান হয়েছে প্রায় সবার
আমরা এখন বিভিন্ন স্তরের ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা।
বুটের চকচকে ভাব আরো কিভাবে বাড়ানো যায় আমরা এখন তার চিন্তা করি
কিংবা একটু পরিপাটি সুট অথবা আরো মসৃন বা আকর্শনীয় ত্বক।
সৃষ্টি হয়েছে শিল্প, সংস্কৃতি
আমরা আরো এগিয়েছি, সৃষ্টি হচ্ছে বিমূর্ত শিল্প।
আমরা ভালোবাসার অনেক উপমা তৈরি করেছি
কষ্টের রং খুঁজে বের করেছি
ফাল্গুনী বাতাসকে রুপান্তর ঘটিয়েছি গানে
জীবন প্রষ্ফুটিত করেছি উপন্যাসে, গল্পে, নাটকে
আমরা জীবন সৃষ্টি করে চলেছি
সৃষ্টি করছি আনন্দ, দুঃখ, অভিমান, অনুরাগ
চলছে জীবনের মানে বের করার অসীম প্রচেষ্টা।
নিজেদের আমরা এখন শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে দাবী করতে পারি।
কিন্ত শ্রেষ্ঠত্বের মানে কি?    
জ্ঞান, বুদ্ধি, শক্তি দিয়ে অন্যদের টা ছিনিয়ে আনা?
নাকি অন্য কিছু?

কাপুরুষের জবানবন্দি

তুমি শোন বা না শোন
কিচ্ছু এসে যায়না।
তোমাদের শোনার দরকারও নেই।
শোনা বা উপলব্ধি করার যে মন
তা অনেক আগেই আগুন জালিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
অগনিত লাশের ভীরে ভয়ার্ত মন
শুধুই বেঁচে থাকার আশায় বেঁচেছে।
স্বপ্ন দেখেছে দু’মুঠো খাবারের।
আশায় থেকেছে একটু ঘুমোনোর।
রক্ত পিপাসু হায়নার দল দাপিয়ে বেড়িয়েছে
রাজপথ, ইমারত, যত নির্ঝঞ্ঝাট এলাকা।
আহত মন দুয়ারে দুয়ারে জানিয়েছে শান্তির আবেদন।
পায়ে চলার, হাতে কড়া নাড়ার শক্তি ছিলোনা।
কাপুরুষ! চিরটাকাল পালিয়েই বেড়িয়েছি।
তোমরা যারা যোদ্ধা; তোমাদের প্রনাম করি;
কৃতজ্ঞতা অপরিসীম। কিন্ত,
যে রাবন সংহার করেছ; তাই যদি তোমরাই হয়ে ওঠো,
তাহলে আর আশার বাকী থাকলো কি?
দুর্জন সর্বদাই পিছনে দরজা দিয়ে ঢুকে সামনে থাকতে চায়।
তারপর মিলেমিশে সব একাকার।
বিবেক ছাড়া তখন আর এই চক্ষু, কর্ন, বুদ্ধি
কোন কাজেই লাগেনা।
তাইতো ওদের মুল লক্ষ্য আজ বিবেক।
চিন্তা করতে যে শক্তি খরচ হয়
তাও আজ আমাদের নিঃশেষ প্রায়।
শুধু এইটুকু জানি,
জন্মগ্রহণে রক্তপাত লাগে;
আর মৃত্যু? সে রক্তপাত ছাড়া নিঃশব্দেও হয়।

Wednesday, July 15, 2015

রাজন

সেই বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে রাজন পর্যন্ত
কি হয় তোমাদের সেই হত অথবা হত্যাকারী?
হয়তো কারো সন্তান. ভাই, বাবা, বন্ধু, স্বজন!
কেন হয় এসব বলতে পারো?
তোমার সন্তান কেন আর একজনের সন্তানকে খুন করে?
তোমার ভাই কেন আর একজনের ভাইকে খুন করে?
তোমার বাবা, বন্ধু বা স্বজন কেন মানুষ খুন করে?
আইন কেন হাতে তুলে নিতে হয় মানুষকে?
সুবিচার সুবিচার পেতে পেতে আরো একটি জীবন অতিবাহিত হয়ে যায়।
হয়তো জীবনেও ধরা দেয় না সেই শ্বেত কপোত।
লাল রং তোমাদের এত প্রিয়?
হতের মত হত্যাকারীর জন্যও তোমাদের প্রান কাঁদে।
বুক ভরা মায়া তোমাদের,
এত ভালবাসা, এত ধৈর্য পৃথিবীতে আর কোন জাতির আছে?
কত জ্বালাময়ী অথবা মর্মস্পর্শী লেখা
কত আকুতি কত বিলাপ!
ভুলে যেতেও সময় লাগে না মোটেও।
সুধুমাত্র লাইক অথবা ভিউ পাওয়ার জন্য হলে ঠিক আছে।
যদি সত্যি চাও তবে আইনের শাসনের, সুবিচারের জন্য এখনি সোচ্চার হও।
হ্যা তোমাকে বলছি যে দিন আনো দিন খাও, সেই থেকে

মসনদের সর্বোচ্চ শিখর পর্যন্ত সকলকে।

Saturday, July 11, 2015

গ্লানি

সময়ের প্রতিটি সিড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
আমি চলেছি সেই চিরচেনা অচিন গন্তব্যে।
মাঝেমাঝে মনে হয়
ভুল সময় নয়তো ভুল স্থানে জন্মেছি
আবার মনে হয় এখানে এই সময়ে
কারো না কারো তো জন্মাতেই হত,
আমি নয় কেন?
অদৃষ্ট লেখেন যেই বিধাতা
ধিক্কার জানাই তাকে
সাথে সাথে ধন্যবাদ জানাই
অনুভব এবং উপলব্ধির যে মাত্রার সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছেন
তার সঠিক পরিচয় এমনকরে হয়ত তার কাছেও অচেনা।

অসুস্থতা

চতুর্দিকে যাত্রায় যেখনেই অবস্থান আমার
চোখ এবং মনে শুধুই অসংগতির উপস্থিতি।
আমি কি অসুস্থ?
নাকি পরিপার্শের অবস্থার পরিনতিতে আক্রান্ত?
নাকি জেনেটিক ত্রুটি?
ফুলের দিকে তাকালে মনে হয়
আর কতটা সময় বাকী এই সৌন্দর্যের?
স্ফীত বক্ষ আর পেলব শরীর আমাকে মনে করায়
বার্ধক্যের জরাজীর্ন কুঞ্চিত ত্বক!
দিন হলে রাতের কথা মনে পরে আর রাত হলে অন্ধকারের।
মানুষের হাসি, আনন্দ আমাকে শংকিত করে।
চারপাশের আনন্দ, উপভোগ্য
কোন কিছুই উপভোগ করতে পারি না আমি
ভবিষৎতের অলীক পরিনতির ভয়ে।
ভয় আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত
দানবের চোখে চোখ পড়ার ভয়;
অপমানের ভয়, লাঞ্চনার ভয়, নিয়তির ভয়।
আমি কি ধার্মিক?

আমাকে শুধুই তাড়িয়ে বেড়ায়
কতগুলো লোভী নির্লজ্জ মুখ।
যাদের বিশ্বাস আর কর্মের মাঝে বিস্তর ফারাক।
তারাই ক্ষমতাবান।
তারা এক এবং সংগঠিত।
আরসিসি ঢালাই দিয়ে তাদের সম্মান বাঁধানো।
কথা বা অপমান তো দুর থাক;
দুই একটা সুপার টর্নেডো কিংবা সুনামী
তার ভীত নাড়াতে অক্ষম।
যারা সর্বদাই যে কোন মানুষকে রাখে রাস্তার বাইরে।
তারপর তারা সেই রাস্তা ভাঙ্গে আবার গড়ে নিজের ইচ্ছেমত।
চালায় বিবেকহীনতার নির্মম যান।
তার পানির মাছকে ডাঙ্গা তুলে মারে আর
ডাঙ্গার জীবকে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসরুদ্ধ করে।
বিবেকহীন এই সব অমানুষ আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় সপ্নেও।
আমি শুধুই পালিয়ে বেড়াই তাদের কাছথেকে।
কিন্ত পালানো কি সম্ভব?
তারা আমার সপ্নও বিষাক্ত করেছে

আমি আজ তাই ভীষন রকমের অসুস্থ!