যোগ্যতা আজ মাপার
মাপার কি বাহার!
অফিস আদালতে করেন
কেমন ব্যবহার?
কেমন করে টাকা মারেন,
রাখেন কোথায় ভরে?
পাবলিক এলে ম্যনেজ
করেন তিনি কেমন করে?
ধর্মালয়ে কেমন করে
খরচ করেন কত?
দায়িত্ব যা পালন করেন;
করে নিজের মত।
বেতন যা পান সবই জমে,
রোজ চলে কি দিয়ে?
ডিউটি যা; সেটার সবই
করেন উপরি নিয়ে।
কাজটা করেন বড় চোরের,
কিন্ত নাকটা উচু!
সকলকেই ভাবেন তিনি
চোরের মত নিচু।
মানুষ মাপেন টাকা
দিয়ে, যোগ্যতাও টাকা।
তাহার কাছে টাকা ছাড়া
এই দুনিয়া ফাঁকা।
এমন টাকার উপাসনায়
আছে যারা রত
সোনার বাংলা ধ্বংশ
যে আজ করছে ঘুনের মত।
ওদের কি দোষ? আমরাওতো
টাকার পিছেই ধাই
টাকা আছে যার পকেটে
তিনি মিয়া ভাই।
পাপকে মোরা ঘৃনা করি!
পাপী? তাকে নয়
পাপীর পকেট টাকায়
ভরা। ঘৃনা? তাকি হয়?
কত বড় মানুষ তিনি,
সবাই তাকে জানে।
আইন, প্রশাসন, জনতারা
তাকেই বড় মানে।
আমরাওতো স্কুল কলেজে
এটাই শিখে বড়
পাপীকে নয়, সবাই তোমরা
পাপ কে ঘৃনা কর।
কোন শালা যে এই প্রবচন
খাতায় গেল লিখে
সব বাঙ্গালী মানলো
এবং গেল এটা শিখে।
চিরন্তন সত্য যে নয়
এই কথাটার মানে
পাপ-পুন্য অলীক বস্তু
খুজিবে কোনখানে?
পাপ-পুন্যের মুল্য
কিবা? কেউ যদি না করে
পাপের শাস্তি জেন
সবই যাবে পাপীর ঘরে।
পুনর্বিবেচনার জন্য
ভাবো আর একবার
সব প্রবচন দাবী করে
যৌক্তিক ব্যাখ্যার।
বলি শোন এমনটাই উচিত
ছিল হওয়া,
আজ থেকেই শুরু করি
এমন করে কওয়া
“পাপ কাজ ত্যাগ করো; পাপীকে ঘৃনা করো।”