আজ তোমার কাছে একটা
আমি গোপন কথা কই
আমি বহুদেখে বিরক্ত
আজ নই তো ভীত নই
তুমি চেয়ার পেলেই
কলম নিয়ে চেষ্টা কর শুরু
আমি বলছি না তা খারাপ;
তবে এখন কেন গুরু?
ঠিক ছিল, যা করার
সেটা শুরু থেকেই করা
মাঝ বয়সে কেন আবার
হঠাৎ কলম ধরা?
ছন্দপতন বিষয়বস্তু
সব কিছু গোলমেলে
অন্তমিলে দ্বন্দ্বমেলে
যেন বাচ্চা ছেলে।
আর লিখেই; যারা অধীন
তাদের ডেকে বল শোন
কাল গভীর রাতে বড়ই
বিচলিত আমার মন
কি আর করা মাঝ দরিয়ায়
গেলাম নৌকা নিয়ে
নাতি দীর্ঘ এই কবিতা লিখেছি চাঁদ নিয়ে।
তার পরে হয় পড়া শুরু,
উচ্চারনের ধার
এদিক ওদিক কাটছে;
কেটে করছে যে চুরমার।
পড়া শেষে মুচকি হেসে;
প্রশ্ন চোখে নিয়ে
তাকালেই! সবাই কণ্ঠে
মেকি খুশি দিয়ে
এসিআর এর ভয়ে বলেন
বাহ বাহ মনোরম
সবাই কি আর এসব পারে
এ যে অনুপম।
তুমি মিথ্যে জেনেও
নিজকে বোঝাও সত্যি এযে সব।
এর পরে বাঁধভেঙে চলে
লেখার কলবর।
যারা অধীন কষ্ট নিয়ে
বাধ্য হয়েই শোনে
বসে বসে হাই তোলে
আর শেষের প্রহর গোনে।
এই শেষ নয় বছর গেলে
বই মেলা যায় এসে
বই ছাপিয়ে অফিসে যাও
দোকান নিয়ে বসে
ওমুক সাহেব তমুক সাহেব
হাকমেরে ডাক দিয়ে
হেসে হেসে বল নতুন
বই এসেছি নিয়ে!
প্রচ্ছদেতে রং দিয়েছেন
যে শিল্পী অনেক নাম
এই অফিসের ক্লাইন্ট
তিনি এটার অনেক দাম!
ফ্রিতেই দিলেন ভালবেসে
প্রীতি উপহার
নিয়ে এসো ওর ফাইলটা
আজকে দেব ছাড়।
ছাপিয়ে দিলেন শিল্পপতি
তার কাজও এইখানে
দুশো কপি নিজেই নিলেন
কি করবে কে জানে?
বাকী আছে আমার কাছে
আরো আটশো খানা
তোমরা আমায় ভালোবাসে
আমার আছে জানা।।
দেখো যেন বাদ না পড়
তোমরা যারা আছো
প্রতি জেলায় সব অফিসের
তালিকাটা বাছো
ভুলকরেও কোন শাখা
না যায় যেন বাদ
কেউ যদি নানেয় তাকে
নেবো যে এক হাত।
এমনতর জোড় করেই যাচ্ছে
যত দিন
বাড়াও তোমার বইয়ের
ক্রেতা হয়ে লজ্জাহীন।
এসব ছাড়ো; লেখার পশার
হয়কি এমন করে?
দিনে দিনে হচ্ছো কবি
চেয়ার টাকে ধরে।
থাকবেনা ঐ চেয়ার যেদিন
পড়বেনা কেউ আর
তোমার লেখা ডাষ্টবিনেতে
স্থান নেবে ময়লার।
যোগ্যতাটা মাথায় থাকে’
খাটাও তোমার মাথা
অফিসটা যে কাজের সেটাই
করছ করে যা তা।
বেতনটা দেয় কাজের
তরে দেশের জনগন
অফিসেতে সেটাই করা
সবচে প্রয়োজন।।