আর একটু চিন্তা করুন.
নিহত ধর্ষিতা মেয়েটি আপনার মেয়ে।
আপনি এজলাসে দাড়িয়ে আপনার মেয়ের বিচার
চাইছেন।
বিবাদী পক্ষ আরো খুটিয়ে খুটিয়ে জানতে
চাইছে।
ধর্ষনের বিবরন, আপান মেয়ের চাল চলন...
আপনার মনের মধ্যে মেয়ের মুখটি ভেসে
উঠছে
রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত....
আপনার নিহত মেয়েটি চরিত্র খারাপ ছিল,
তা প্রমানের চেষ্টা চলছে আপনার সামনেই।
আপনার মনের মধ্যে সেই ছোট বেলার
মেয়েটির মুখ
সারা দিন পরে দেখলেই কোলে ঝাপিয়ে পড়তো
মা বলে ডাক দিলেই, সে তার ভুবন ভোলানো
হাসিটি দিতো।
জড়িয়ে ধরত, কত খুনসুটি, কত আবদার....
সেই মেয়েটির জন্য আজ আপনি
শত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যে বিচার চাইছেন।
রাজনীতি চলছে, ব্যবসা চলছে, জুয়া চলছে
কবিদের কাব্যানুভুতি শাণিত হচ্ছে
অকর্মাদের রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন
চলছে
আর আগুন জ্বলছে আপনার মনে।
তারপর একদিন হয়তো আরো একজনের প্রস্থানে
সবার মন থেকে হাড়িয়ে গেল
আপনার সেই আদরের মেয়েটি।
তারপরে এটা শুধু শুধু আপনার একাকীত্বের
সঙ্গী,
আপনার জীবনের একটি অসহায়ত্বের কাহিনী।
একজন পিতার স্বাধীন রাস্ট্রে কি এটিই
পাওনা ছিলো?