Monday, August 29, 2016

ভোটের অধিকার




আজ থেকে হোক কথা বন্ধ 
কুলুপ দিলাম মুখে ।
তোমার অপছন্দ হলেই
মুখটি করো ফিকে।

শাসাও আবার ভয়ও দোখাও
যেন মানুষ নই!
নিজের দেশেই পরবাসী
এ দুখ কারে কই?

জনগন আজ পরের ছেলে,
লাগেনা ভোট তার
প্রশাসন আর দলের ছেলে
তাদের ই দরকার?

বলব সেদিন গলাছেড়ে
এ দেশটা আমার।
কভু যদি ফের ফিরে পাই
ভোটের অধিকার।

Tuesday, April 5, 2016

একজন অসহায় পিতা এবং একটি অসহায় জাতি

আর একটু চিন্তা করুন.
নিহত ধর্ষিতা মেয়েটি আপনার মেয়ে।
আপনি এজলাসে দাড়িয়ে আপনার মেয়ের বিচার চাইছেন।
বিবাদী পক্ষ আরো খুটিয়ে খুটিয়ে জানতে চাইছে।
ধর্ষনের বিবরন, আপান মেয়ের চাল চলন...
আপনার মনের মধ্যে মেয়ের মুখটি ভেসে উঠছে
রক্তাক্ত, ক্ষত বিক্ষত....
আপনার নিহত মেয়েটি চরিত্র খারাপ ছিল,
তা প্রমানের চেষ্টা চলছে আপনার সামনেই।
আপনার মনের মধ্যে সেই ছোট বেলার মেয়েটির মুখ
সারা দিন পরে দেখলেই কোলে ঝাপিয়ে পড়তো
মা বলে ডাক দিলেই, সে তার ভুবন ভোলানো হাসিটি দিতো।
জড়িয়ে ধরত, কত খুনসুটি, কত আবদার....
সেই মেয়েটির জন্য আজ আপনি
শত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মধ্যে বিচার চাইছেন।
রাজনীতি চলছে, ব্যবসা চলছে, জুয়া চলছে
কবিদের কাব্যানুভুতি শাণিত হচ্ছে
অকর্মাদের রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন চলছে
আর আগুন জ্বলছে আপনার মনে।
তারপর একদিন হয়তো আরো একজনের প্রস্থানে
সবার মন থেকে হাড়িয়ে গেল
আপনার সেই আদরের মেয়েটি।
তারপরে এটা শুধু শুধু আপনার একাকীত্বের সঙ্গী,
আপনার জীবনের একটি অসহায়ত্বের কাহিনী।
একজন পিতার স্বাধীন রাস্ট্রে কি এটিই পাওনা ছিলো?

Sunday, March 27, 2016

প্রকৃত জীবন


নিরবে চলে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে
যে স্বপ্নটা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে
পুরোনো দিনের সিনেমার মত 
তার রং ফিকে হয়ে আসছে দিনের পর দিন।
হয়তো একসময় 
একটি সাদা ক্যনভাস পড়ে থাকবে ধুলোর উপরে!
এমনটিই বাস্তবতা সবার জন্য।
কত ক্ষুদ্র মানুষ; অথচ তার স্বপ্ন?
এই পৃথিবী, ছায়পথ, তার চেয়েও বড় অসীম….
শেষ বিকেলের বোঝাপড়া, গোধূলীর আলোয় মনমড়া।
কিন্ত দৃশ্যমান এই নিস্ফল পথচলাই, জীবনের যাত্রাকে করেছে সচল
যেটুকু দেবার উজার করেই দেবার সময় এখন।
সবটা হয়ত কাজে লাগবে না।
কোনটা দরকারী আর অপ্রয়োজনীয় 
সেটা মানুষ নিজেকে বাদ দিয়ে কখোনোই চিন্তা করতে পারে না,
মানুষের এটাই সীমাবদ্ধতা।
আর এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার নাম প্রকৃত জীবন।

ধর্ষক

এখন আর তোমরা মানুষের দলে পড়োনা
মানুষ হলেও, বুনো হায়নার মত দাত আছে তোমাদের
কি অসীম ক্ষমতা
যে কোন সময় যে কাউকেই
তুমি তোমার দাতদিয়ে ছিন্নভিন্ন করতে পার
মানুষের কাচা মাংশ
ছিন্নভিন্নকরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে পারো এই ধরনীর বুকে।
চুম্বকের সমমেরুর মত
সাধারন মানুষ তোমাদের কাছ থেকে ছিটকে সরে যায়
গুটিয়ে যায়, হীনমন্যতায় ভোগে।
বিশ্বভ্রমান্ডের অসীম পরিচয়ের মধ্যে একটি পরিচয় মানুষ।
এই মানুষের মাঝেই তোমরা অসীম পরিচয়ের সৃষ্টি করেছ
তৈরি করেছ অসীম ব্যবধান।
দুরে যেতে যেতে এখন তোমরা এই ছায়াপথ থেকে অন্য ছায়পথে।
সব পুরস্কার তোমাদের, সকল সুবিধা তোমাদের,
সকল উৎকর্ষ তোমাদের, সকল আভিজাত্যও তোমাদের।
আর বাকী মানুষ? ছিটেফোটা বাকী থাকলে সেটুকু তাদের।
তাতেও দারুন বিপত্তি, বিসৃঙ্খলায় দারুন বিরক্তি তোমাদের।
ক্ষুধার সময় কি প্রানীকুল সৃঙ্খলায় আবদ্ধ থাকে?
অসীম আরাম আয়েশে,
প্রানীকুলের সাধারন কিছু নিয়ম কানুনও-
তোমরা তোমাদের নিয়মে চালাতে চাও।
ধরনীর মাটি এবং তোমাদের পায়ের মাঝখানে যে বুটের তলার ব্যবধান
সেই ব্যাবধান
ক্রমশই অসীম হয়েছে তোমাদের হাতের অস্ত্রর আর ক্ষমতার দাপটে।
আজ তাই তোমাদের জন্মদাত্রীকেও তোমরা ছিন্নভিন্ন কর
তোমরা অবয়বে মানুষ, হয়ত আমাদেরই ভাই
তারপরেও প্রার্থনা করি তোমরা যেন মানুষ হতে পারো।
প্রার্থনা করা ছাড়া আমাদের আর কি’বা করার আছে।