Tuesday, April 28, 2015

গোলমাল

যুগের সাথে তাল মেলাতে যখন যেমন তাই
সাথে আছে প্রয়োজনের তাগিদ জেন ভাই
প্রয়োজনের গ্যাড়া কলে হরেক রকম প্যরা
নিশ্চয়তা নাই, যে যেরকম করছে মাথা ন্যাড়া
লাখো প্রানের আত্মদানে এদেশ স্বাধীন আজ
পিআর, ভিসা যাহোক আজি দেশ ছাড়াটাই কাজ
ছালাম রফিক বরকত আরো ভাষাসেনা কতো!
ইংরেজীর দখলে সকল স্কুল কলেজ যত।
দেশের নেতার চেয়ে আজি বিদেশীরাই দামি
কাজের চেয়ে ভিক্ষা প্রিয়, বাকপটুরাই নামী।
পড়ার চেয়ে পলিটিক্স এ আমদানীটা ভালো;
পথটা যা হোক সাদা কালো, টাকায় সবই আলো
মন্দ ভালোয় কি এসে যায়? সংজ্ঞা বদলে গেছে
“ভালো মানেই অক্ষম লোক, যে রয় সবার পিছে”

সোনার দেশের নষ্ট ধারা, আমরা সবাই দায়ী
বিবেক ভ্রষ্ট, চিন্তা নষ্ট, নষ্ট জীবন তাই
এ দেয় দোষটা ওদের, আবার ওরা এদের দেয়
জনগন আর রাজনীতিবিদ মুখের শান্তি নেয়
আসছে জীবন, যাচ্ছে জীবন, যাচ্ছি রসাতলে
যাচ্ছে সময় মহাকালের, ধুকছি পলে পলে
শুদ্ধ চিন্তা খুঁজতে হবে, নিজের প্রয়োজনে
বুঝতে হবে মন্দ ভাল, বিবেকটারে শেণে

একটুখানি

একটুখানি কথাই ছোটায় কথার’ই ফুলঝুড়ি;
একটুখানি ভালবাসায় সুখের সপ্নপুরী।
একটুখানি চলতে শেখাই, অনেকটা পথ চলা
একটুখানি হাসি, করে অনেক খেলামেলা।
একটুখানি সৎ থাকাতেই অনেক ভালোর শুরু,
একটুখানি সত্য বলাই, সকল কথার গুরু।
একটুখানি গুনের তারিফ? গুণী ঘরে ঘরে।
একটুখানি মন্দ ত্যাগে, সুদিন চরাচরে।  
একটুখানি ইতিবাচক, সকল ভালোর তরে,

ভালোয় ভালোয় আনন্দধাম জগৎবিশ্ব ভরে।

গরু

হাসলেই সে ভালো মানুষ, রাগলে ভালো না
একা থাকলে অহংকারী, মিশলে, খারাপ না।
বক্তা সেযে অনেক ভালো হেসেই কথা বলেন
নির্বাচনে হওয়ার পরেও, সবার সাথে চলেন
কাজ না করুন দেশের তরে, আছে মুখে হাসি
তার হাসিই সবার চেয়ে আমরা ভালোবাসি।
হাসি মুখেই মিথ্যে বলেন, লাগে কিযে ভালো
সপ্ন দেখান লক্ষ টাকার, জ্বালান আশার আলো।

হন যদি সে আমলা, বেজায় ভালো ছাত্র তিনি
হোক সে গরীব বাপের ছেলে, এখন সেই ধনী
টাকা খেলে কাজটি করেন আছে সুনাম তার
জনসেবা এমনতরো ক’জন করেন আর?
দেশ বিদেশে ঘোরেন সদাই অনেক জ্ঞানী লোক
কে দেখে? পান টাকা কোথায়? কার সে দুষ্ট চোখ?

পড়লে ফাঁদে এসব লোকই, আমরা কষ্ট পাই
কষ্টে থাকি, দুঃখে থাকি, এদের শান্তি চাই
বুক পেতে দেই, এদের তরে, মোদের জীবন বাজী
সুখে থাকুক এরা, মোরা দুঃখ পেতেও রাজী
অতি সুখে থাকলে মোদের গা ম্যাজম্যাজ করে
ভুতের জন্য মন আনচান, কখন কিলটি পড়ে   
বুদ্ধি দিয়ে বোঝার চেয়ে দেখে শুনেই খুশী
ভাত খেয়ে আর লাভ কি? মোদের খাওয়াই উচিত ভুষি!

Saturday, April 25, 2015

পরজীবি

আপনি কি কবি, কবিতা লেখেন?
-জি না!
আপনি কি গান করেন অথবা গানের শিক্ষক?
-জি না!
গল্প, উপন্যাস বা প্রবন্ধ লেখেন নিশ্চই?
-জি না।
ও তাহলে মনে হয় নৃত্য শিল্পী..
-জি না।
অভিনয়! নির্দেশনা, আলোক প্রক্ষেপন করেন?
-না।
ছবি আকেন?
শিল্প সাহিত্যের কোন মাধমে আপনার অবদান আছে?
অথবা শিল্প সংস্কৃতি উত্তরনে বা বিকাশে কোন বিশেষ ভুমিকা?
-সরাসরি ওরকম কিছুই নেই, তবে আমি সবকিছুর সাথেই আছি।
আমি সংস্কৃতি সেবী, শিল্প প্রেমী, সাংস্কৃতিক কর্মী!


আপনি সুন্দর করে সুবিধাবাদী এবং তৈলাক্ত বক্তব্য দেন।
প্রতিটি অনুষ্ঠানেই আপনি মঞ্চের মধ্যমনি হয়ে বসে থাকেন।
একজন গুনী শিল্পীরও আপনার কাছে নত হতে হয়।
সকল পদক এবং সম্বর্ধনা প্রাপ্তির তালিকায় আপনি থাকেন আগে।
সরকারী বেসরকারী অনুদান কোনটাই বাদ দেন না।
যখন শিল্পীরা গান বা আবৃত্তি করেন,
ততক্ষনই আপনি পাশের লোকের সাথে কথা বলেন।
সবসময়েই নারী বেস্টিত থাকেন, এবং নির্লজ্জ ভাবে
তাদের মাথায়, শরীরে হাত বোলান।
আপনার চোখ চকচক করে ওঠে রক্ত-মাংশ লোভী হায়নার মত,
কিন্ত চেহারায় এক সৌম্য রুপ।
আপনাকে অভিনেতা বলা যায়।
ক্ষমতাবানদের অন্যায়ের প্রতিবাদ দুরে থাক, আপনি তাদের সাথে থেকেছেন।
শিল্পীদের দালালী করে পকেট ভারী করেছেন, অথচ শিল্পিরা থেকেছে বঞ্চিত।
শিল্পীদের পুজি করে, নেতা হয়েছেন, শিল্পীরা সবসময় রয়েছে লক্ষ্যহীণ।
আপনি, আপনারা, শিল্পীদের ভুল বুঝিয়েছেন, তাদের সরলতার সুযোগ নিয়েছেন।
মাঝথেকে আপনাদের ভবিষ্যৎ হয়েছে সুরক্ষিত।
শিল্পীরা এখনো বাঁচার জন্য যুদ্ধ করে, ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ করে..
আর মরার সময় ভিক্ষা করে।

আর আপনি, আপনারা..
নিশ্চিত জীবনের আনন্দে, সম্মানের গর্বে সমুজ্জল ব্যাক্তিত্ব নিয়ে
এখোনো মধ্যমনি শিল্প সংস্কৃতির, সমাজের।

আপনারা সফল, আপনারা সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব।

Sunday, April 19, 2015

গেম

এক ঘটনা চাপা দিতে অন্য ঘটনাকে
সাজায় আবার, প্রচার করে নতুন করে তাকে।
মিডিয়াও বেজায় খুশী বাড়ল খানিক কাজ,
ব্রেকিং নিউজ কাটতি বেজায় আনন্দ সাজসাজ।
হত্যা কিংবা, লাঞ্চনা বা সেই ঘটনার ভীড়
পুলিশ সদাই পাশেই থাকে, সেই ঘটনাটির,
শুশীল কুশীল দুটো দলই একে অপরের
দোষ দেয়, আর নিজে বাঁচার চেষ্টা সকলের
দোষী আর নির্দোষীদের হয় একই হয়রানি
ফিফটি ফোরে পকেট বাড়ে, বাড়ে ঘোলা পানি
পর সমাচার, কোর্টের দ্বার আর রিমান্ড রিমান্ড খেলা
পকেট বাড়ে, বেড়েই চলে অপেক্ষারই পালা।
নতুন আরএক ঘটনারই ছকটি তলে তলে
চলছে গুটি, এলেই সবাই আগেরটারে ভোলে
আবার সবাই আগের খেলায় ব্যাস্ত আগের মত    
যে হত বা লাঞ্চিত, তার পোড়া কপাল যত।