স্বাধীনতার পরে
প্রায় 45 বছর হয়ে গেল
মুক্তিযোদ্ধারা
সবাই প্রবীন, মৃত্যুর অপেক্ষায়
মুক্তিযুদ্ধের
সময় পাক বাহিনী অত্যাচারের কথা শুনেছি অনেক
বাস্তবে দেখিনি,
নাটকে, সিনেমায় দেখেছি কিছু!
চেতনা সমৃদ্ধ
যুবকদের দেখেছি ষ্টাইলিষ্ট পাঞ্জাবি চাঁদর পড়ে প্রভাতফেরী করতে
দেখেছি শহীদ মিনারে
গলায় ঝড় তুলে কাঁপিয়ে দিতে সমাবেশ
উস্কখুষ্ক চুলদাড়ি
দামি হেয়ার ড্রেসারে গিয়ে আরো ষ্টাইলিষ্ট ভাবে উস্কখুষ্ক করে
চেতনাবাদী নারীদের
বগলে তিয়ে শরীরের ওম পোয়াতে দেখেছি।
তাদের সকলের চোখ
চকচক করছে মাংশের লোভে।
বেয়াড়া সন্তানগুলো
যাদের কোন ক্রমেই
লাইনে আনা যাচ্ছিলনা
শেষমেশ মাদ্রাসা;
তাদের ও দেখেছি
পাঞ্জাবি আর গোলটুপি
পড়ে এসে সেগুলো খুলে
টিসার্ট পরে সিনেমা
হলে পর্ন ছবি দেখেতে
কমদামী সস্তা
হোটেলে লাইন দিয়ে উষ্ণ মাংশের স্বাদ নিতে
আর যাদের সে সুযোগও
ছিলো না তাদের মধ্যে ও দেখেছি
আরো নির্লজ্জের
মত নিজেদের নিজেদেরকে ভোগ করতে দেখেছি।
এ পর্যন্ত সহ্য
করা যায়।
কিন্ত মুক্তি
যুদ্ধকে পুজি করে কিছু ফটকা ব্যবসায়ী
সরাসরি যুদ্ধ
করার নিয়ে যাদের সম্পর্কে তর্ক আছে
এবং সেসময়ে সকল
কুকর্ম করা নিয়ে
যাদের বিষয়ে কোন
সংশয়ই নেই
আজ তাদের কার্জকলাপই
অসহ্য।
তাদের থলি ভরতে
ব্যস্ত আজ সকল রাজ কর্মচারী
শশস্ত্র বাহিনী
শুধু তাদেরই নিরাপত্তা দেয়
নিরুপায় জনগন
তাদের ভোট দেয়
হয়তো দেয় না;
কিন্ত তাতে কিছু এসযায় না
তাদের গড়া প্রক্রিয়ায়
আজ ফেসে গেছে জনগন।
স্বাধীন দেশ
অথচ এদেশের শশস্ত্র
বাহিনী এদেশের জনগন হত্যাকরে
প্রতি পাঁচ বছরে
দেশকে মুক্ত করতে হয় নিজেদের কাছ থেকে
এদেশেরে টাকা
লুট হয়ে চলেযায় মালয়শিয়া, লন্ডন সহ বিভিন্ন দেশে
যেমন যেত পুর্বপাকিস্তান
থেকে পশ্চিমে
প্রতিটি সরকারী
সেবা প্রতিষ্ঠান আজ শোষক।
নেই রাজস্বের
যথাযথ প্রতিদান।
মিথ্যাচার, লুটতরাজ,
ক্ষমতাবাজি আর নির্ল্জ্জতার মহোৎসব!
অসহায় জনগন শুধু
চেয়ে দেখে
স্বাধীনতার 45
বছর পরে দেশটা আজ একটা মহাশশ্মান
জ্বলছে অর্থনীতি
জ্বলছে জীবন্ত মানুষ
পিতার মাতার বুকে
সন্তানের দগ্ধ লাশ!
সংসারের উপার্জনের
পথ আজ পেট্রলের আগুনে জলছে
লেলিয়ে দেয়া হয়েছে
চেতনা সমৃদ্ধ
যুবকদের আর বেয়াড়া সন্তানগুলোকে
একে অপরের বিরুদ্ধে।
যাদের হয়তো কদাচিৎ
দেখা হত
ইদের নামাজ পড়ার
সময়ে, মিলাদে অথবা জানাযায়।
এতকিছুর পরে এদেশের
জনগন
তোমাদের কষ্টে
কষ্ট পায়
তোমাদের একাকিত্বে
সংগ দেয়
তোমাদের অপরাধকে
তারা ভুল হিসেবে ক্ষমা করে দেয়
আর তোমরা তাদের
এই ভালবাসাকে নির্বুদ্ধিতা মনে করো
তোমরা বারবার
অপরাধ করো জনগন বার বার ক্ষমা করে।
কতদিন?
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড,
অসীম অথবা মৃত্যুর মধ্যে কি মুল্য আছে এসবের?
যেখানে একটি উল্কাপিন্ড
সমাপ্তি টানতে পারে হাজার বছরের সভ্যতার।
মানুষ হিসেবে
পরিতৃপ্ত হতে হলে কি এত মানুষকে বঞ্চিত করতে হয়?
এত মায়ের বুক
খালি করতে হয়?
এত সন্তানকে পিতৃহারা
করতে হয়?
একটা স্বাধীন
দেশকে মহাশশ্মান বানাতে হয়?
কি করে মুক্তি
পাবে তোমরা?
স্বাধীন দেশে
তো মুক্তিযুদ্ধও হয় না।